দেবী দুর্গাকে কেন বৈষ্ণবী, বিষ্ণুমায়া, নারায়ণী নামে ডাকা হয়?
শ্রী শ্রী চন্ডীতে দেবীর স্তুতিকালে ক্ষণে ক্ষণে দেবীকে বৈষ্ণবী, বিষ্ণুমায়া, নারায়ণী ইত্যাদি নামে ডাকা হয়েছে। যেমন:
শঙ্খ-চক্র-গদা-শার্ঙ্গ-গৃহীত-পরম-আয়ুধে।
প্রসীদ বৈষ্ণবী-রূপে নারায়ণি নমঃ অস্তু তে।।
( শ্রী চন্ডী, ১১।১৬ -মার্কেন্ড পুরাণস্থ )
অনুবাদ:
হে শঙ্খ চক্র গদা শার্ঙ্গাদি শ্রেষ্ঠ আয়ুধ-ধারিণি, তুমি বৈষ্ণবী রূপে বিখ্যাত, হে নারায়ণী, তোমাকে নমস্কার।
.
শ্রীমদ্ভাগবতে উল্লেখ রয়েছে –
নামধেয়ানি কুর্বন্তি স্থানানি চ নরা ভুবি।
দুর্গেতি ভদ্রকালীতি বিজয়া বৈষ্ণবীতি চ ৷।
কুমুদা চণ্ডিকা কৃষ্ণা মাধবী কন্যকেতি চ।
মায়া নারায়ণীশানী শারদেত্যম্বিকেতি চ।।
( শ্রীমদ্ভাগবত ১০।২।১১,১২ )
অনুবাদ:
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মায়াদেবীকে এই বলে আশীর্বাদ করেছিলেন– পৃথিবীতে মানুষেরা বিভিন্ন স্থানে তোমার দুর্গা, ভদ্রকালী, বিজয়া, বৈষ্ণবী, কুমুদা, চণ্ডিকা, কৃষ্ণা, মাধবী, কন্যকা, মায়া, নারায়ণী, ঈশানী, শারদা, অম্বিকা প্রভৃতি নামকরণ করবে।
.
দেবীকে কেন এ সকল বৈষ্ণবীয় সম্বোধনে সম্বোধিত করা হয় তার ব্যাখা দেবী স্বয়ং-ই দিয়েছেন-
বিষ্ণুভক্তিরহং তেন বিষ্ণুমায়া চ বৈষ্ণবী।
নারায়ণস্য মায়াহং তেন নারায়ণী স্মৃতা।।
( শ্রীব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, কৃষ্ণজন্মখন্ড, ১২৯।৯৩ )
অনুবাদ:
দেবী বললেন, ” আমি বিষ্ণুভক্তা, তাই আমাকে ‘বিষ্ণুমায়া’ ও ‘বৈষ্ণবী’ নামে ডাকা হয়। আমি নারায়ণের মায়া, তাই আমাকে ‘নারায়ণী‘ বলা হয়।
.
।।। হরে কৃষ্ণ ।।
[ বি:দ্র: স্বধর্মম্-এর অনুমোদন ব্যাতীত এই গবেষণামূলক লেখার কোনো অংশ পুনরুৎপাদন, ব্যবহার, কপি পেস্ট নিষিদ্ধ। স্বধর্মম্-এর সৌজন্যে শেয়ার করার জন্য উন্মুক্ত ]
নিবেদক-
° স্বধর্মম্: প্রশ্ন করুন | উত্তর পাবেন °
All right 🙏