কেন প্রভু রামচন্দ্র অগ্নিপরীক্ষার সময় মাতা সীতাকে বাঁধা দেন নি? রামায়ণে কি অগ্নিপরীক্ষার উল্লেখ রয়েছে?
বাল্মীকি রামায়ণে অগ্নিপরীক্ষার উল্লেখ রয়েছে। সাধারণ মানুষ যেনো কখনোই মাতা সীতাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে এজন্যই প্রভু শ্রীরাম চন্দ্র বাঁধা দেন নি, সেই কথাও রামায়ণে উল্লেখ রয়েছে।
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীরাম চন্দ্র বললেন-
অনন্যহৃদয়াং সীতাং অহমপ্যবগচ্ছামি মৈথিলীং মচ্চিত্তপরিরক্ষিণীম্। জনকাত্মজাম্।। ইমামপি বিশালাক্ষীং রক্ষিতাং স্বেন তেজসা। রাবণো নাতিবর্তেন বেলামিব মহোদধিঃ ।। প্রত্যয়ার্থং তু লোকানাং ত্রয়াণাং সত্যসংশ্রয়ঃ। উপেক্ষে চাপি বৈদেহীং প্রবিশন্তীং হুতাশনম্।।
[ বাল্মিকী রামায়ণ, যুদ্ধকাণ্ড ১১৮।১৫-১৭]
অনুবাদ:-
আমি (শ্রীরাম) ভালোভাবে অবগত আছি যে সীতার হৃদয় সর্বদা আমাতেই নিবদ্ধ এবং তিনি সদা আমার মনোবৃত্তির অনুসারিণী। আয়তলোচনা সীতা স্বকীয় তেজোদীপ্তিতে স্বয়ং সুরক্ষিতা। অতএব সমুদ্রের ঊর্মিমালা যেমন বেলাভূমিকে অতিক্রম করতে পারে না, সেইরূপ রাক্ষসরাজ রাবণও সীতার মর্যাদা লঙ্ঘন করতে অসমর্থ। কেবল সত্যাশ্রয়ী আমি ত্রিলোকবাসীর বিশ্বাসের জন্ম অগ্নিতে প্রবেশকারিণী সীতাকে নিবৃত্ত করিতে চেষ্টা করি নি।
এছাড়াও বেদব্যাসের মহাভারতের বনপর্বেও মাতা সীতার অগ্নিপরীক্ষার বর্ণনা আছে। গোস্বামী তুলসীদাস সহ যত প্রকার লেখক রাম লীলা বর্ণনা করেছেন সর্বত্র মাতা সীতার অগ্নিপরীক্ষার উল্লেখ আছে। এতএব মাতা সীতার অগ্নিপরীক্ষা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের কোন অবকাশ নেই।
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু বেদব্যাসের বাক্য হতে প্রমাণ করেছেন, রাবণ ছায়াসীতাকে অপহরণ করেছিলো, মূল সীতা অগ্নিদেবের কাছে ছিলো। তাই মূল সীতাকে অগ্নিদেবের কাছ থেকে নিতে তিনি এরূপ অগ্নিপরীক্ষার লীলা করিয়েছেন।
তথ্য সহায়তায়: শ্রীপাদ বিজয় দাস প্রভু
নিবেদক:
° স্বধর্মম্ : প্রশ্ন করুন | উত্তর পাবেন °