শাস্ত্রঃ
ভগবানের শক্ত্যাবেশ অবতার শ্রীল কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাসের শিষ্য জৈমিনী তার পূর্ব-মিমাংসাতে বলেন, “যে গ্রন্থে অনুশাসন, উপদেশ, আদেশ এবং নিষেধ ইত্যাদি আলোচনা করা হয় তাকে শাস্ত্র বলা হয়।” সুতরাং শাস্ত্র মানে সে সমস্ত সনাতনী ধর্ম গ্রন্থ যেখানে পরমেশ্বর, তার সৃষ্টি, তার উপদেশ, তার নিষেধ ইত্যাাদি সুস্পষ্টভাবে বর্ননা করা হয়েছে।
সনাতনী শাস্ত্র সমূহঃ
জীবের ধর্ম সনাতন ধর্মে শাস্ত্র প্রধানত দুইপ্রকার,যথা- ১.বেদ বা শ্রুতি ২.স্মৃতি।
বেদ প্রধানত চার প্রকার -ঋগ্,যর্জু(শুক্ল,কৃষ্ণ),সাম, অথর্ব।পুনরায় প্রতিটি বেদ চারভাগে বিভক্ত-১/সংহিতা, ২/ব্রাহ্মণ৩/আরন্যক ৪/ উপনিষদ।এছাড়াও শ্রুতি শাস্ত্রের সহায়ক গ্রন্থ হল- উপবেদ (ধনুর্বেদ,আয়ুর্বেদ),বেদাঙ্গ(শিক্ষা, কল্প,ব্যাকরণ,নিরুক্ত,ছন্দ,জ্যোতিষ)।
সনাতন ধর্মে দ্বিতীয় শাস্ত্র হল স্মৃতি। স্মৃতি প্রধানত পাঁচ প্রকার, যেমন- ১/পুরাণ(অষ্টাদশ মহাপুরাণ + অষ্টাদশ উপপুরাণ) ২/ইতিহাস(মহাভারত, রামায়ণ,শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা)৩/পঞ্চরাত্র
৪/ সংহিতা ৫/ তন্ত্র (সাত্ত্বিক, রাজসিক,তামসিক)।এছাড়াও স্মৃতি শাস্ত্রের সহায়ক গ্রন্থ হল -সংস্কার সূত্র(শ্রৌত সূত্র,গৃহ্য সূত্র,ধর্ম সূত্র) এবং উপাঙ্গ (সাংখ্য,যোগ,ন্যায়,বৈশিষিক,পূর্ব মিমাংসা,উত্তর মিমাংসা)
১/বেদ বা শ্রুতি শাস্ত্রঃ
বেদ শব্দের অর্থ হল জ্ঞান। যে শাস্ত্রে পরমেশ্বর ভগবানের নির্দেশ বা উপদেশ আলোচনা করা হয়েছে তাকে বেদ বলা হয়। বেদকে শ্রুতিও বলা হয়। বেদের জ্ঞান গুরু থেকে শিষ্য শ্রবণ বা শ্রৌত পন্থায় প্রবাহমান, তাই বেদকে শ্রুতিও বলা হয়। প্রধানত বেদ চার প্রকার -ঋগ্,যর্জু(শুক্ল,কৃষ্ণ),সাম, অথর্ব।পুনরায় প্রতিটি বেদ চারভাগে বিভক্ত-সংহিতা, ব্রাহ্মণ,আরন্যক এবং উপনিষদ।সংহিতা চারভাগে বিভক্ত -ঋগ্বেদ সংহিতা,যর্জুবেদ সংহিতা,সামবেদ সংহিতা এবং অর্থববেদ সংহিতা।যজুর্বেদ সংহিতা আবার দুইপ্রকার-শুক্ল যজুর্বেদ এবং কৃষ্ণ যজুর্বেদ।
শ্রুতি শাস্ত্রের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ে বহুবিধ ব্রাহ্মণ ও আরন্যক শাস্ত্র রয়েছে।এরপর চতুর্থ পর্যায়ে শ্রুতি শাস্ত্র হল উপনিষদসমূহ।উপনিষদকে বেদান্ত বলা হয় কারন উপনিষদ হল সমগ্র বেদ শাস্ত্রের অন্ত বা শেষ ভাগ।
প্রতিটি বেদের নিদির্ষ্ট কিছু কিছু ব্রাহ্মণ,আরন্যক এবং উপনিষদ রয়েছে।যেমন ঋগ্বেদের ঐতরেয় ব্রাহ্মণ ও কৌষীতকী ব্রাহ্মণ,কৃষ্ণ যজুর্বেদের তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ,শুক্ল যজুর্বেদের শতপথ ব্রাহ্মণ,সামবেদের ছান্দোগ্য ব্রাহ্মণ ও তাণ্ড্য ব্রাহ্মণ,অথর্ববেদের গোপথ ব্রাহ্মণ।
এরপর ঋগ্বেদীয় ঐতরেয় ব্রাহ্মণের সাথে আছে ঐতরেয় আরণ্যক, কৃষ্ণ যজুৰ্ব্বেদীয় তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণের সাথে আছে তৈত্তিরীয় আরণ্যক, শুক্ল যজুর্বেদীয় শতপথ ব্রাহ্মণের সাথে যুক্ত আছে বৃহদারন্যাক আরণ্যক ইত্যাদি।
মুক্তিকোপনিষদে ঈশ,কেন,কঠ,মুন্ডক,মান্ডূক্য,
গোপালতাপনী,কলির্সন্তরন ইত্যাদি ১০৮ টি উপনিষদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মুক্তিকোপনিষদ অনুসারে ১০৮টি উপনিষদকে চারটি বেদ অনুসারে বিভক্ত করা হয়েছে। ঋগ্বেদীয় উপনিষদ হল ঐতরেয় উপনিষদ, কৃষ্ণ উপনিষদ ইত্যাদি।সামবেদীয় উপনিষদ হল ছান্দোগ্য উপনিষদ, কেন উপনিষদ ইত্যাদি। শুক্ল যজুর্বেদীয় উপনিষদ হল ঈশোপনিষদ, বৃহদারন্যক উপনিষদ ইত্যাদি। কৃষ্ণ যজুর্বেদীয় উপনিষদের হল কঠোপনিষদ , তৈত্তিরীয় উপনিষদ,কলির্সন্তরন উপনিষদ ইত্যাদি।অথর্ববেদীয় উপনিষদ হল মুন্ডক উপনিষদ,প্রশ্নোপনিষদ,
মান্ডূক্যোপনিষদ,গোপালতাপনী উপনিষদ ইত্যাদি।
২/ স্মৃতি শাস্ত্রঃ
মুনি ও ঋষিদের দ্বারা রচিত বেদানুকুল শাস্ত্রকে স্মৃতি শাস্ত্র বলা হয়। স্মৃতি মানে স্মরন করা।
ক) পুরাণ
পুরাণ মানে পুরাতন ইতিহাস। যে শাস্ত্রে পরমেশ্বর এবং তার সৃষ্টি, তার উপদেশ,তার নিষেধ, তার বিভিন্ন অবতারদের অপ্রাকৃত লীলাবিলাসের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে তাকে পুরাণ বলে।সৃষ্টির শুরু থেকে গুরু ও শিষ্য পরম্পরার ধারায় পুরাণ শাস্ত্রের জ্ঞান প্রবাহিত। মৎস্য পুরাণ অনুসারে সৃষ্টির সূচনা লগ্নে ব্রহ্মার মুখ থেকে পুরাণ শাস্ত্রের সৃষ্টির হয়।
পুরানং সর্বশাস্ত্রানাং প্রথমং ব্রহ্মণা স্মৃতম।
অনন্তরঞ্চ বক্ত্রেভ্যো বেদান্তস্য বিনির্গর্তা।।
পুরানমেকমেবাসীৎ তদা কল্পান্তরেহনঘ।
ত্রিবর্গসধং পুন্যাং শতকোটি প্রবিস্তবম।।
চতুর্লক্ষ প্রমানেন দ্বাপরে দ্বাপরে সদা।
তথাষ্টাদধা তৃত্বা ভূলোকে অস্মিন প্রকাশ্যতে।।
– (মৎস্য পুরানঃ৫৩/৩,৪,৯,১০)
অনুবাদঃ সমস্ত শাস্ত্রের মধ্যে পুরাণই প্রথম বলিয়া ব্রহ্মা কতৃর্ক স্মৃত হইয়াছে।অনন্তর তাহার মুখগুলি (বক্ত্রেভ্যো) হইতে বেদসকল(বেদান্তস্য) নির্গত হয়।
হে অনঘ! কল্পান্তরে মাত্র একখানি পুরান ছিল।ঐ পুরান ত্রিবর্গের সাধন ও শতকোটি শ্লোকে পরিপূর্ণ। প্রতি দ্বাপরে চতুর্লক্ষ( ৪ লক্ষ) শ্লোক সম্বলিত পুরান অষ্টাদশ ভাগে বিভক্ত করিয়া এই ভুলোকে আমি প্রকাশ করি।
শ্রীমদ্ভাগবত পুরান ১২/১৩/ ৪-৯ নং শ্লোক অনুযায়ী
প্রধান পুরানসমূহ অষ্টাদশ ভাগে বিভক্ত।সেগুলি হল-ব্রহ্ম,পদ্ম, বিষ্ণু,শিব,নারদ,মার্কেন্ডেয়,অগ্নি,ভাগবত,ভবিষ্য,
ব্রহ্মবৈবর্ত,লিঙ্গ, বরাহ,স্কন্দ,বামন,,কূর্ম,মৎস্য,গরুড় এবং ব্রহ্মান্ড।এছাড়াও ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান শাস্ত্রের শ্রীকৃষ্ণ জন্মখন্ড,১৩৩/২১,২২ নং শ্লোকে অষ্টাদশ পুরানের সাথে অষ্টাদশ উপপুরানের কথাও বর্ণনা করা হয়েছে(“এবঞ্চোপপুরাণামাষ্টাদশ প্রকীর্ত্তিতা।”)।এসমস্ত উপপুরান সমূহও পরমেশ্বরের আদেশে শ্রীল ব্যাসদেব রচনা করেন।
খ) ইতিহাস
বিভিন্ন যুগে সংঘটিত ভগবান এবং মহান ব্যাক্তিদের সাথে সম্পর্কিত ঘটনা প্রবাহের ঐতিহাসিক গ্রন্থকে ইতিহাস শাস্ত্র বলে।সনাতনী শাস্ত্রে রামায়ন এবং মহাভারত এ দুটি মহান ইতিহাস শাস্ত্র রয়েছে। এছাড়াও শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ইতিহাস শাস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত কেননা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা হল ভীষ্ম পর্বের অন্তর্গত।
রামায়ণ-
রামায়ণ শাস্ত্র হল ভগবান বিষ্ণুর অবতার মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরামচন্দ্রের অপ্রাকৃত লীলার বর্ণনা,যা ত্রেতা যুগে ব্রহ্মার নির্দেশে শ্রীবাল্মিকী মুনি রচনা করেন।
মহাভারত-
মহাভারত শাস্ত্র হল পঞ্চপান্ডবদের অসহনীয় বিপদ থেকে উদ্ধারকল্পে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যিনি স্বয়ং বিষ্ণু তার অচিন্তনীয় কৃপার সুমহান বর্ণনা। দ্বাপরযুগের শেষের দিকে ভগবানের শক্ত্যাবেশ অবতার শ্রীল ব্যাসদেব এই মহাভারত শাস্ত্র রচনা করেন। এই মহাভারত শাস্ত্রের সাথে যুক্ত আছে সমগ্র সনাতনী শাস্ত্রের সারশাস্ত্র শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা হল মহাভারতের ভীষ্মপর্বের অন্তর্গত ২৫-৪২ তম অধ্যায়।শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা যদিও মহাভারতের অংশ তথাপি এ গ্রন্থকে সনাতনী শাস্ত্রে পৃথক গ্রন্থের মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা শব্দের অর্থ হল শ্রীমৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কতৃর্ক গীত বা কথিত। বেদ যেমন পরমেশ্বর ভগবানের সরাসরি নির্দেশ ঠিক তেমনই শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা হল সরাসরি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত বাণী।তাই বেদ এবং গীতা সম্পূর্ণ অভিন্ন এক পরমেশ্বরের জ্ঞান।
স্কন্দপুরান শাস্ত্রের অবন্তীখন্ডের, গীতা মাহাত্ম্যে শ্রীল ব্যাসদেব গীতা শাস্ত্রকে সমগ্র সনাতনী শাস্ত্রের সাররুপে বর্ণনা করেছেন-
গীতা সুগীতা কর্তব্যা কিমন্যৈঃ শাস্ত্রবিস্তরৈঃ।
যা স্বয়ং পদ্মনাভস্য মুখপদ্মাদ্বিনিঃসৃতা।।
সর্বশাস্ত্রময়ী গীতা সর্বদেবময়ী যতঃ।
সর্বধর্মময়ী যস্মাত্তস্মাদেতাং সমভ্যসেৎ।।
–(স্কন্দপুরানঃ অবন্তীখন্ড, গীতা মাহাত্ম্যঃ ১,২)
অনুবাদঃ গীতা স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখপদ্ম থেকে নিঃসৃত হয়েছে।তাই অন্যান্য বহু রকমের শাস্ত্র অধ্যয়ন করার আর কিবা প্রয়োজন? সুতারাং সকলের কর্তব্য উত্তমরুপে এই শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা অধ্যায়ন করার অভ্যাস করা। কেননা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা হল সর্বশাস্ত্রময়ী, সর্বদেবময়ী ও সর্বধর্মময়ী।
যদিও দ্বাপরযুগে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে ভগবদ্গীতার জ্ঞান উপদেশ করেন, তথাপিও গীতার জ্ঞান বহু পুরাতন।গীতা ৪/১ নং শ্লোক অনুযায়ী ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রথম গীতার জ্ঞান প্রদান করেন সূর্যদেব বা বিবস্বানকে।এরপর বিবস্বান মানব জাতির পিতা মনুকে তা দান করেন, এবং মনু রঘুবংশের জনক ইক্ষ্বাকুকে তা দান করেন।কিন্তু পরবর্তীতে এভাবে পরম্পরা ধারায় সে জ্ঞান বন্ধ হয়ে যাওয়াতে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পুনরায় অর্জুনকে একই গীতার জ্ঞান দান করেন।মহাভারত,শান্তিপর্ব ৩৪৮/৫১-৫২ শ্লোক অনুসারে, সূর্যদেব ত্রেতাযুগের শুরুতে অথাৎ ২০ লক্ষ ৫ হাজার বছর পূর্বে মনুকে গীতার জ্ঞান দান করেন।(বিস্তারিত – শ্রীল প্রভুপাদকৃত ভগবদগীতা যথাযথ এর গীতা ৪/১ শ্লোকের তাৎপর্য)
গ+ ঘ)পঞ্চরাত্র এবং সংহিতাঃ
সনাতন ধর্মে পঞ্চরাত্র এবং সংহিতা শাস্ত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসমস্ত শাস্ত্রে পরমেশ্বর ভগবানের গুনমহিমা অসাধারণভাবে বর্ণিত আছে। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ শাস্ত্রের শ্রীকৃষ্ণ জন্মখন্ডে পাঁচটি পঞ্চরাত্র শাস্ত্র এবং পাঁচটি কৃষ্ণভক্তি সমন্বিত সংহিতা শাস্ত্রের কথা আলোচনা করা হয়েছে। পঞ্চরাত্র শাস্ত্রসমূহ হল -বশিষ্ট পঞ্চরাত্র ,নারদ পঞ্চরাত্র ,কপিল পঞ্চরাত্র,গৌতম পঞ্চরাত্র এবং সনৎকুমার পঞ্চরাত্র।পাচঁটি সংহিতা শাস্ত্র হল -ব্রহ্মসংহিতা,শিবসংহিতা,
প্রহ্লাদসংহিতা,গৌতমসংহিতা, এবং সনৎকুমার সংহিতা।
পঞ্চকং পঞ্চরাত্রাণাং কৃষ্ণমাহাত্ম্যপূর্ব্বকম্।
বশিষ্টং নারদীয়ঞ্চ কপিলং গৌতমীয়কম্।।২৩।।
পরং সনৎকুমারীয়ৎ পঞ্চরাত্রঞ্চ পঞ্চকম্।
পঞ্চমী সংহিতান্যঞ্চ কৃষ্ণভক্তিসমন্বিতা।।২৪।।
ব্রহ্মণশ্চ শিবস্যাপি প্রহ্লাদস্য তথৈব চ।
গৌতমস্য কুমারস্য সংহিতাঃ পরিকীত্তির্তা।।” ২৫।।
-ব্রহ্মবৈবর্ত পুরানঃ শ্রীকৃষ্ণ জন্মখন্ড,১৩৩/২৩-২৫
অনুবাদঃ শ্রীকৃষ্ণ মাহাত্ম্যপূ্র্ণ পাঁচটি পঞ্চরাত্র-বশিষ্ট,নারদ,কপিল,গৌতম এবং সনৎকুমার কতৃর্ক।ব্রহ্ম,শিব,প্রহ্লাদ,গৌতম এবং সনৎকুমার কর্তৃক কৃষ্ণভক্তি সমন্বিত পাঁচটি সংহিতা পরিকীর্তিত হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের সংহিতা বা স্মৃতি রয়েছে। যেমন – মনুস্মৃতি বা মনুসংহিতা,যাজ্ঞবল্ক্য সংহিতা,পরাশর সংহিতা, ব্যাস সংহিতা ইত্যাদি।
ঙ) তন্ত্র শাস্ত্রঃ
সনাতন শাস্ত্রে কিছু কিছু তন্ত্র শাস্ত্র পরিলক্ষিত হয়।তা তিনভাগে বিভক্ত- সাত্ত্বিক, রাজসিক,তামসিক। যেমন বৈষ্ণবীয় তন্ত্রসার,মহানির্বাণ তন্ত্র ইত্যাদি।
হরে কৃষ্ণ। প্রনাম।