কার্তিক মাসে আমিষ আহার বর্জন করতে হয় কেন?
এ সম্পর্কে মহাভারতে ভীষ্মদেব যুধিষ্ঠিরকে বলছেন-
চতুয়ো বাষিকান্মাসান যাে মাংসং পরিবজ্জয়েৎ।
চত্বারি ভদ্রাণ্যাপ্নোতি কীর্তিমায়ুর্যশাে বলম॥
[ মহাভারত অনুশাসন পর্ব, অধ্যায় ১০০, শ্লোক-৯৩ ]
বঙ্গানুবাদ:
যিনি বর্ষার চার মাস অর্থাৎ শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিক মাসে মাংস বর্জন করেন, তিনি কীর্তি, আয়ু,যশ ও বল এই চারি প্রকার মঙ্গল লাভ করিয়া থাকেন।
এ সম্পর্কে মহাভারতে ভীষ্মদেব যুধিষ্ঠিরকে আরো বলছেন-
অথবা মাসমেকং বৈ সর্বমাংসান্যভক্ষয়ন।
অতীত্য সর্বদুঃখানি সুখং জীবেন্নিরাময়ঃ ॥
বর্জ্জয়ন্তি হি মাংসানি মাসশঃ পক্ষশােহপি বা।
তেষাং হিংসানিবৃত্তানাং ব্ৰহ্মলােকো বিধীয়তে ॥
[ মহাভারত অনুশাসন পর্ব, অধ্যায় ১০০, শ্লোক-৯৪,৯৫ ]
বঙ্গানুবাদ:
যে সমস্ত মানুষ কার্তিক, মাঘ ও বৈশাখের এক মাস সমস্ত মাংস পরিত্যাগ করেন, তারা সকল দুঃখ অতিক্রমপূৰ্ব্বক নিরাময় হয়ে সুখে জীবনযাপন করেন। আর যারা প্রতিটি মাসে ও প্রতিটি পক্ষে মাংস বর্জন করে চলেন, হিংসা হতে নিবৃত্ত সেই সজ্জনদের জন্য ব্ৰহ্মলােক নির্দিষ্ট থাকে।
এ সম্পর্কে স্কন্দপুরাণে উল্লেখ রয়েছে-
কার্ত্তিকে বর্জ্জয়েন্মাংসং সন্ধানঞ্চ বিশেষতঃ।
রাক্ষসীং যোনীমাপ্নোতি সকৃন্মাংসস্য ভক্ষণাৎ।।
[ স্কন্দপুরাণ, বিষ্ণুখন্ডম-কার্ত্তিকমাসমাহাত্ম্যম, ২।১৮]
বঙ্গানুবাদ:
অন্য কিছু বর্জন করো বা না করো, কার্তিক মাসে বিশেষভাবে মাংস (আমিষ) ও মদ্য (মাদক) পরিহার করবে। কার্ত্তিকমাসে একবার মাত্র মাংস ভোজন করলে রাক্ষসযোনী প্রাপ্তি ঘটে।
তাই যাদের এখনো নিয়মিত ভগবানের প্রসাদ পাওয়ার সৌভাগ্য হয় নি, তাদের বিশেষ ভাবে অবশ্যই কার্তিক মাসে আমিষ বর্জন করা উচিত।
।।। হরে কৃষ্ণ ।।
[ বি:দ্র: স্বধর্মম্-এর অনুমোদন ব্যাতীত এই গবেষণামূলক লেখার কোনো অংশ পুনরুৎপাদন, ব্যবহার, কপি পেস্ট নিষিদ্ধ। স্বধর্মম্-এর সৌজন্যে শেয়ার করার জন্য উন্মুক্ত ]
নিবেদক-
° স্বধর্মম্: প্রশ্ন করুন | উত্তর পাবেন °