হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করার প্রয়োজনীয়তাঃ

20250925_163431

বৈদিক শাস্ত্র বিশেষ করে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা শাস্ত্রে মানব জীবনে সুখি হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে যজ্ঞ অনুষ্ঠানকে নির্দেশ করা হয়েছে। এ সম্পর্কে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন-
‎ ‎ ‎নায়ং লোকোহস্ত্যযজ্ঞস্য

কুতোহন্যঃ কুরুসত্তম।।৩১

‎ –(শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ৪/৩১)
‎ন-না,অয়ম্ এই, লোকঃ-জগৎ, অস্তি- আছে, অযজ্ঞস্য- যজ্ঞ- রহিত ব্যক্তির, কুতঃ- কোথায়, অন্যঃ- অন্য, কুরুসত্তম- হে কুরুশ্রেষ্ঠ।

অনুবাদঃ হে কুরুশ্রেষ্ঠ, যজ্ঞ অনুষ্ঠান না করে কেউই এই জগতে সুখে থাকতে পারে না, তা হলে পরলোকের আর কি কথা?

‎ ‎সহযজ্ঞাঃ প্রজাঃ সৃষ্টা পুরোবাচ প্রজাপতিঃ।
অনেন প্রসবিষ্যধ্বমেষ বোহস্ত্বিষ্টকামধুক্ ।। ১০।।

‎ -(শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ৩/১০)
‎সহ-সহ, যজ্ঞাঃ- যজ্ঞাদি,প্রজাঃ- প্রজাসকল, সৃষ্টা-সৃষ্টি করে, পুরা-পুরাকালে, উবাচ-বলেছিলেন, প্রজাপতিঃ- সৃষ্টিকর্তা, অনেন- এর দ্বারা, প্রসবিষ্যধ্বম্ – উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ হও, এষঃ- এই, বঃ- তোমাদের, অস্তু- হোক, ইষ্ট- সমস্ত অভীষ্ট, কামধুক্- প্রদানকারী।

অনুবাদঃ সৃষ্টির প্রারম্ভে সৃষ্টিকর্তা যজ্ঞাদিসহ প্রজা সকল সৃষ্টি করে বলেছিলেন- “এই যজ্ঞের দ্বারা তোমরা উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ হও, কারণ এই যজ্ঞ তোমাদের সমস্ত অভীষ্ট পূর্ণ করবে।

‎উপরোক্ত আলোচনায় এইভাবে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা প্রদান করছেন,এ জগতে এবং চিন্ময় জগতে আমাদের চিরন্তন সুখের চাবিকাঠি হল যজ্ঞ অনুষ্ঠান।বৈদিক শাস্ত্রে বিভিন্ন প্রকার যজ্ঞের বর্ণনা করা হয়েছে।সেগুলি হল-

‎১.ব্রহ্ম/স্বাধ্যায় যজ্ঞশ্রীমদ্ভগবদ্গীতা,শ্রীমদ্ভাগবত, বেদসংহিতা,ঈশোপনিষদ,শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ ইত্যাদি বৈদিক শাস্ত্র পাঠ করাকে স্বাধ্যায় যজ্ঞ/ব্রহ্ম যজ্ঞ বলা হয়।

‎২.হোম/অগ্নিহোত্র যজ্ঞযজ্ঞবেদী স্থাপন করে তাতে অগ্নি প্রজ্বলিত করে পুরুষসুক্ত,বিষ্ণুসুক্ত,
‎নারায়ন সুক্ত ইত্যাদি বেদমন্ত্র উচ্চারণ করে শ্রীকৃষ্ণ /শ্রীবিষ্ণুর উদ্দেশ্য ঘৃত এবং পঞ্চশস্য দ্বারা আহুতি প্রদান করা।এ পদ্ধতিকে বলা হয় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ।

‎৩.জপ যজ্ঞশাস্ত্রোক্ত পরমেশ্বর ভগবানের পবিত্র নাম জপ করাকে জপযজ্ঞ বলা হয়।

‎৪.পিতৃ যজ্ঞপূর্বপুরুষ, পিতা-মাতা ও গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা এবং তাদের সেবা করাকে পিতৃযজ্ঞ বলা হয়।

‎৫.নৃ যজ্ঞধর্মাত্মা, অতিথি এবং দরিদ্র ব্যক্তিদের সেবা করা, তাদের খাদ্য,পানীয়,আসন ইত্যাদি দান করাকে নৃযজ্ঞ বলা হয়।

‎৬.ভূত যজ্ঞপশু, পাখি এবং অন্যান্য সকল জীবের প্রতি দয়া এবং খাদ্য প্রদান করে তাদের প্রতি সেবা প্রদর্শন করাকে ভূত যজ্ঞ বলা হয়।

এ সমস্ত যজ্ঞের মধ্যে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১০/২৫ শ্লোকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জপযজ্ঞকে সমস্ত যজ্ঞের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ যজ্ঞরুপে (যজ্ঞানাং জপযজ্ঞ)
‎অর্জুনের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা প্রদান করছেন।

মহর্ষীণাং ভূণ্ডরহং গিরামস্থ্যেকমক্ষরম্।
যজ্ঞানাং জপযজ্ঞোহস্মি স্থাবরাণাং হিমালয়ঃ।।২৫

‎ -(শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১০/২৫)
‎মহর্ষীণাম্- মহর্ষিদের মধ্যে,ভৃগুঃ- ভৃগু,অহম্-আমি, গিরাম- বাক্যসমূহের মধ্যে,অস্মি-হই,একম্ অক্ষরম্- এক অক্ষর প্রণব বা ওঁ-কার, যজ্ঞানাম্-যজ্ঞসমূহের মধ্যে, জপযজ্ঞঃ- জপযজ্ঞ, অস্মি-হই, স্থাবরাণাম্ – স্থাবর বস্তুসমূহের মধ্যে,হিমালয়ঃ- হিমালয় পর্বত।

অনুবাদঃ মহর্ষিদের মধ্যে আমি ভৃগু, বাক্যসমূহের মধ্যে আমি দিব্য ওঁ-কার। যজ্ঞ সমূহের মধ্যে আমি জপযজ্ঞ এবং স্থাবর বস্তুসমূহের মধ্যে আমি হিমালয়।

কৃষ্ণ-যজুর্বেদীয় কলির্সন্তরণ উপনিষদ,ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ,অনন্ত সংহিতা সহ বিভিন্ন সনাতনী শাস্ত্রে
‎ কলিযুগে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি এবং জীবান্তে চিন্ময় জগত প্রাপ্তির পথ হিসেবে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করার উপর বিশেষভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

নারদঃ পুনঃ পপ্রচ্ছ তন্নাম কিমিতি। সহোবাচ হিরণ্যগর্ভঃ। হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।। ইতি ষোড়শকং নাম্নাং কলিকল্মষনাশনম্। নাতঃ পরতরোপায়ঃ সর্ববেদেষু দৃশ্যতে ষোড়শকলাবৃতস্য জীবস্যাবরণবিনাশনম। ততঃ প্রকাশতে পরং ব্রহ্ম মেঘাপায়ে রবিরশ্মিমণ্ডলীবেতি।।২।।

– কলিসন্তরণ উপনিষদঃ ২ (কৃষ্ণ-যজুর্বেদ)

অনুবাদঃ তখন নারদজী পুনঃ প্রশ্ন করলেন সেই নাম কি? তখন হিরণ্যগর্ভ ব্রহ্মাজী বললেন, হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।। এই প্রকার ষোল নাম বত্রিশ অক্ষর মন্ত্র কলিযুগে সমস্ত দোষ নাশ করে। চারিবেদে এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ কোনো উপায় নেই। এই ষোলো অক্ষর মন্ত্র উচ্চারনে জীবের ষোড়শকলা যুক্ত আবরণ বিনষ্ঠ হয়। বৃষ্টির পর যেমন মেঘ কেটে গিয়ে সূর্যরশ্মি প্রকাশিত হয় তেমনই জীবও পরমব্রহ্মকে জানতে পারে।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
‎ হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
‎ ইত্যষ্টশতকং নাম্নাং ত্রিকাল কল্মষাপহং।
‎ নাতঃ পরতরোপায়ঃ সর্ব্ববেদেষু বিদ্যতে।।

(ব্রহ্মাণ্ড পুরাণঃ উত্তরখণ্ড, রাধাহৃদয় মাহাত্ম্য ৬।৫৫,৫৬ )

অনুবাদঃ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।। -এই মহামন্ত্র হরিনাম একশত অষ্টবার ত্রিকাল জপে সর্ব্বপ্রকার পাপের অপহারক হন। অর্থাৎ প্রাতঃ মধ্যাহ্ন ও সায়াহ্ন একশত অষ্ট বার প্রত্যেক সময়ে উচ্চারণ করাতে সকল পাতক ধ্বংস হয়। ইহার পর ভবভীরু জনের ভব নিস্তারণ উপায় আর নাই, ইহা সর্ব্ববেদে কথিত আছে।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
‎ হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
‎ ষোড়ষৈতানি নামানি দ্বাত্রিদ্বর্ণকাণি চ ।
‎ কলৌ যুগে মহামন্ত্র সম্মত জীবতারণে।।

‎ -(অনন্ত সংহিতা ৪।১০,১১ )

অনুবাদঃ“হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।“- এই ষোল নাম বত্রিশ অক্ষর কলিযুগের মহামন্ত্র এবং জীবতারণে অভিমত।

হরের্নাম হর্রেনাম হরের্নামৈব কেবলম্।
‎ কলৌ নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা।।

‎ -( বৃহন্নারদীয় পুরাণ ৩৮।১২৬ )
অনুবাদঃ এই কলিযুগে হরিনাম ব্যতীত অন্য কোন গতি নেই, গতি নেই, গতি নেই।

সমগ্র সনাতনী শাস্ত্রের ন্যায় শ্রীচৈতন্য ভাগবত গ্রন্থে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু জড়বন্ধন থেকে মুক্তিকামী সকল মনুষ্যকে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করার জন্য বিশেষভাবে শিক্ষা প্রদান করেছেন।তিনি উপদেশ প্রদান করেছেন,নিয়মিত এ হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করার প্রভাবে জপকারী ভক্তের ইহজীবন এবং পরজীবনে সমস্ত সৎ আশা পূর্ণ হবে অথাৎ তাদের জীবন সুখময় হবে।

আপনে সবারে প্রভু করে উপদেশে।
‎ ‘কৃষ্ণ-নাম মহা-মন্ত্র শুনহ হরিষে।।৭৫।।
‎ ‘হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
‎ হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে’।।”৭৬।।
‎ প্রভু বলে,-“কহিলাঙ এই মহামন্ত্র।
‎ ইহা জপ’ গিয়া সবে করিয়া নির্বন্ধ।।৭৭।।
‎ ইহা হৈতে সর্ব্ব-সিদ্ধি হইবে সবার।
‎ সর্বক্ষণ বল’ ইথে বিধি নাহি আর।।৭৮।

‎ -( শ্রীচৈতন্য ভাগবতঃ মধ্য.২৩/৭৫-৭৮)

অনুবাদঃ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু স্বয়ং উপদেশ প্রদান করলেন,দয়া করে আপনারা সকলে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র শ্রবণ করুন-

‘হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
‎হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।’‎

প্রভু আরো বললেন,আমি আপনাদের কাছে এই মহামন্ত্র বললাম।এখন আপনারা সকলে এই মহামন্ত্র জপ করুন।এই মহামন্ত্র জপের প্রভাবে ইহকাল এবং পরকালের আপনাদের সমস্ত আশা(ইচ্ছা) পূর্ণ হবে অথাৎ আপনারা পরম সুখি হবেন।

সুতরাং আমাদের কর্তব্য এই কলিযুগে পরমেশ্বর ভগবান থেকে নির্দিষ্টকৃত এই ষোলনাম সমন্বিত হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র অত্যন্ত আন্তরিকতা সহকারে প্রতিদিন জপ করা।উপরোক্ত আলোচনায় আমরা গীতায় বর্ণিত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী থেকে বুঝতে পেরেছি, এই জগতে যজ্ঞ ব্যতীত কেউ সুখি হতে পারে না,এবং সমস্ত যজ্ঞের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হল জপ যজ্ঞ।তাই আমাদের সুখের জন্য, পর্বতসম দুঃখ থেকে মুক্তির জন্য এবং পরিশেষে চিন্ময় জগতে ফিরে গিয়ে পরমানন্দে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রেমময়ী সেবায় যুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করা কর্তব্য।

‎হাতের কর অথবা মালা দিয়ে ভক্ত ১ মালা অথাৎ ১০৮ বার ১৬ নাম সমন্বিত হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করবেন।জপ মালাতে জপ করা সুবিধা জনক,তাই ভক্ত জপমালা দিয়ে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করবেন।শাস্ত্রোক্ত চার সম্প্রদায় বৈষ্ণব আচার্যগণ জপমালায় জপ করেছেন।এছাড়াও শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, ষড় গৌস্বামী এবং পূর্বতন সমস্ত আচার্যগণ মালা দিয়ে জপ করেছেন।প্রাথমিক অবস্থায় ভক্ত আশুতোষ শিবের কৃপা লাভ করার জন্য তারই প্রিয় বেল কাঠ দ্বারা নির্মিত মালা দিয়ে জপ করবেন।জপমালাতে ১৬ নাম সমন্বিত হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র কিভাবে জপ করতে হয়, তার একটি তাত্ত্বিক নমুনা এখানে প্রদান করা হল।দয়া করে নবীন ভক্ত এ বিষয়ে ব্যবহারিক শিক্ষা পেতে শ্রদ্ধাবনত চিত্তে একজন অভিজ্ঞ জপকারী ভক্তের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবেন।

‎নমুনা-
‎জপের মালাতে রয়েছে ১০৮ টি গুটি। জপ শুরু করার পূর্বে একটি আসনে বসে ১ মালা জপ করার জন্য সংকল্পবদ্ধ হবেন/ সংকল্প করবেন।এরপর গুরু প্রনাম মন্ত্র উচ্চারণ করে পঞ্চতত্ত্বের জয়ধ্বনি মন্ত্র উচ্চারণ করবেন।এরপর প্রতিটি গুটিতে ১০৮ বার ১৬ নাম সমন্বিত হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করবেন।১০৮ বার হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ সমাপ্ত হলে পুনরায় পঞ্চতত্ত্বের জয়ধ্বনি মন্ত্র উচ্চারণ করে এক মালা জপ সমাপ্ত করবেন।

ওঁ অজ্ঞানতিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জনশলাকয়া।
‎ চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ ।।(১ বার)

‎ জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ।
‎শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌরভক্তবৃন্দ।।(৩ বার)

‎ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
‎ হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।(১০৮ বার)

‎ জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ।
‎শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌরভক্তবৃন্দ।।(১ বার)

জপমালা না থাকলে অভিজ্ঞ জপকারী ভক্তের পরামর্শে ডান হাতের কর ব্যবহার করে ভক্ত উপরোক্ত নিয়মে প্রতিটি করে ১০৮ বার হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করবেন।

হরে কৃষ্ণ। প্রনাম।

প্রচারে- ©️স্বধর্মম্™️






Sadgun Madhav Dash

Writer & Admin

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments