সনাতন ধর্মে কি ছাগল,হাঁস মুরগী পালন করা নিষিদ্ধ ?
বিষ্ণুপুরাণে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে-
মার্জারকুক্কুটচ্ছাগশ্ববরাহবিহঙ্গমান্।
পোষয়ন্নরকং যাতি তমেব দ্বিজসত্তম।।
[ বিষ্ণুপুরাণ ২।৬। ২২ ]
অনুবাদ:
হে দ্বিজশ্রেষ্ঠ! বিড়াল, হাঁস-মুরগী, ছাগল, অশ্ব, শূকর তথা পক্ষীপালন করে জীবিকাপালনকারী ব্যক্তিও ওই নরক তথা পূয়বহ নামক নরকে গমন করে।
.
এ সম্পর্কে শ্রীমদ্ভাগবতে বলা হয়েছে –
যে ত্বিহ বা অনাগসোঽ রণ্যে গ্রামে বা বৈশ্রম্ভকৈরুপসৃতানুপবিশ্রস্তয্য জিজীবিষ্ণুন্ শূলসূত্রাদিযূপপ্রোতান্ ক্রীড়নকতয়া যাতয়ন্তি তেহপি চ প্রেত্য যমযাতনাসু শূলাদিষু প্রোতাত্মানঃ ক্ষুত্ত্ব ভ্যাংচাভিহতাঃ কঙ্কবটাদিভিশ্চেতস্ততস্তিগ্মতুণ্ডৈরাহন্যমানা আত্মশমলং স্মরস্তি।।
[ শ্রীমদ্ভাগবতম ৫।২৬। ৩২ ]
অনুবাদ:
যে সমস্ত মানুষ ইহলোকে গ্রামে বা অরণ্যে জীবন রক্ষার্থে আগত পশু-পাখিদের আশ্রয় দান পূর্বক বিশ্বাস জন্মিয়ে শূল অথবা সূত্রের দ্বারা তাদের বিদ্ধ করে এবং তারপর ক্রীড়নকের মতো ক্রীড়া করে প্রবল যন্ত্রণা দেয়, তারা মৃত্যুর পর যমদূতদের দ্বারা শূলপ্রোত নামক নরকে নীত হয় এবং তাদের শরীর তীক্ষ্ণ শূল ইত্যাদির দ্বারা বিদ্ধ করা হয়। সেখানে তারা ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় পীড়িত হয়, এবং চতুর্দিক থেকে বক, শকুন প্রভৃতি তীক্ষ্ণ-চঞ্চু পক্ষী এসে তাদের দেহ ছিন্নভিন্ন করতে থাকে। এইভাবে যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে তারা তখন তাদের পূর্বকৃত পাপকর্মের কথা স্মরণ করতে থাকে।
.
অর্থাৎ জীবন রক্ষার্থে আগত পশু-পাখিদের (হাঁস, মুরগী, ছাগল ইত্যাদিকে..) আশ্রয় দান করে বিশ্বাস জন্মিয়ে হত্যা করে, তাদের মৃত্যুর পর যমদূত তাদের শূলপ্রোত নামক নরকে নিক্ষেপ করে।
।।হরে কৃষ্ণ।।
.
[ বি:দ্র: স্বধর্মম্-এর অনুমোদন ব্যাতীত এই গবেষণামূলক লেখার কোনো অংশ পুনরুৎপাদন, ব্যবহার, কপি পেস্ট নিষিদ্ধ। স্বধর্মম্-এর সৌজন্যে শেয়ার করার জন্য উন্মুক্ত ]
নিবেদক-
° স্বধর্মম্: প্রশ্ন করুন | উত্তর পাবেন °
অন্তেষ্টিক্রিয়া বা শেষকৃত্য বিষয়ক কোন সহায়ক গ্রন্থ থাকলে বা উল্লেখিত বিষয়ে সনাতন শাস্ত্র বিধি-নিষেধ সম্পর্কিত তথ্যের প্রয়োজন।