ভগবদ্গীতা সম্বন্ধে প্রক্ষিপ্তবাদের প্রতিবাদ

20250816_012724

দেশের ও বিদেশের অনেক মনস্বীই বলিয়া থাকেন যে, ভগবদ্গীতা মহাভারতের ভীষ্মপর্বে প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে। এ সম্বন্ধে গীতার প্রারম্ভেই কিছু আলোচনা করা একান্ত উচিত মনে করিয়া বাদী ও প্রতিবাদীর উক্তি-প্রত্যুক্তিচ্ছলে তাহা এস্থানে লিপিবদ্ধ করা হইল।

 

প্রক্ষিপ্তবাদী: মহাশয়! ভগবদ্গীতাটা যে ভীষ্মপর্কে প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে, তাহা জানেন?

প্রতিবাদী: কি করিয়া জানিব; কাহাকেও প্রক্ষিপ্ত করিতে দেখি নাই, শুনা কথারও কোন মূল্য নাই, প্রক্ষেপের যুক্তিও খুঁজিয়া পাই না।

প্রক্ষিপ্তবাদী: কেন প্রক্ষেপের যুক্তি খুঁজিয়া পাইবেন না, ভীষ্মপর্বের যে স্থানে গীতা

সন্নিবেশিত আছে, সে স্থানে গীতা উঠিবার কোন প্রসঙ্গই নাই।

প্রতিবাদী: প্রসঙ্গ নাই একথা আমরা স্বীকার করিতে পারি না। কারণ, কুরুপাণ্ডব-উভয়পক্ষ যুদ্ধসজ্জায় সজ্জিত হইয়া কুরুক্ষেত্রে উপস্থিত হইয়াছেন এবং ভীষ্ম কুরুপক্ষের প্রধান সেনাপতির পদ গ্রহণ করিয়াছেন ইত্যাদি সমস্ত ঘটনাই ধৃতরাষ্ট্র জানেন এবং যুদ্ধের সমগ্র বৃত্তান্ত জানিয়া আসিয়া তাহা বলিবার জন্য সঞ্জয়ের উপরে আদেশও করিয়াছেন। এই অবস্থায় দশম দিনের যুদ্ধে ভীষ্ম নিপতিত হইলে, সঞ্জয় আসিয়া ধৃতরাষ্ট্রের নিকট বলিলেন-“মহারাজ! ভীষ্ম আজ শিখণ্ডীর হন্তে যুদ্ধে নিপতিত হইয়াছেন” ইহা শুনিয়া ধৃতরাষ্ট্র বহুতর বিলাপ করিয়া যুদ্ধের আদ্যন্ত বৃত্তান্ত শুনিবার ইচ্ছায় সঞ্জয়ের নিকট জিজ্ঞাসা করিলেন- “আমার পুত্রেরা ও পাণ্ডবেরা যুদ্ধ করিবার ইচ্ছায় কুরুক্ষেত্রে সমবেত হইয়া প্রথমে কি করিলেন?” ধৃতরাষ্ট্রের এই প্রশ্নই ত গীতা উঠিবার প্রসঙ্গ। এইরূপ প্রসঙ্গ লইয়াই ত মহাভারতের এবং অন্যান্য উপাখ্যানময় গ্রন্থের উপাখ্যানগুলি উঠিয়াছে।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ সে যাহা হউক, উভয়পক্ষের যোদ্ধারাই অস্ত্র শস্ত্রে সুসজ্জিত হইয়া আপন আপন সেনাপতির আদেশের প্রতীক্ষা করিতেছেন, সে আদেশ হইলেই যুদ্ধ আরম্ভহয়। এমন সময়ে উভয় সৈন্তের মধ্যস্থানে থাকিয়া পাওবপক্ষের প্রধান সহায় কৃষ্ণ গীতা বলিতে আরম্ভ করিলেন, আর প্রধান যোদ্ধা অর্জুন তাহা শুনিতে থাকিলেন। ‘ধান ভাণতে মহীপালের গীত আরম্ভ হইয়া গেল’ মহাযুদ্ধারম্ভে অধ্যাত্মবিষয়ের আলোচনা চলিতে থাকিল! এমন ঘটনা কি কখনও সম্ভব হইতে পারে? বক্তা ও শ্রোতা উভয়েই নিরুদ্বেগ না হইলে, গীতার মত বিষয়ের আলোচনা হইতেই পারে না।

প্রতিবাদীঃ মহাশয়। এই ভীষ্মপর্বেরই প্রথম অধ্যায় পর্যালোচনা করিলে বোধ হয় আপনি এরূপ অসামঞ্জস্যের অবতারণা করিতেন না। উভয়পক্ষ মিলিত হইয়া যুদ্ধের প্রারম্ভে যে সকল নিয়ম করিয়াছিলেন, তাহা ভীষ্মপর্বের প্রথম অধ্যায়ে লিখিত আছে। তাহার মধ্যে এই কথাটুকুও আছে যে, “সমাভাষ্য প্রহর্ত্তব্যং ন বিশ্বস্তে ন বিহ্বলে’ অর্থাৎ ‘আমরা বলিয়া কহিয়া বিপক্ষের উপরে প্রহার করিব এবং কোন বিপক্ষ বিশ্বস্ত বা বিহ্বল থাকিলে, তাহার উপরে প্রহার করিব না‘। সুতরাং কৃষ্ণ ও অর্জুনের এইরূপ দৃঢ় বিশ্বাসই, ছিল যে, আমাদিগকে না জানাইয়া কেহই প্রহার করিবে না। অতএব কৃষ্ণ ও অর্জুন উভয়েই তখনও নিরুদ্বেগ ছিলেন বলিয়া তাঁহাদের অধ্যাত্মবিষয়ের আলোচনাও সম্ভবপর হইয়াছিল।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ মহাশয়। আসামিপক্ষের অনেক উকীলেরই মনে মনে এমন প্রতিজ্ঞা থাকে যে, ‘আমার মক্কেল দোষীই হউন আর নির্দোষই হউন, আমি তাঁহাকে নির্দোষ বলিয়াই প্রতিপন্ন করিব’ আপনারও যদি সেইরূপই প্রতিজ্ঞা থাকে যে, আমি গীতাকে মূলগ্রন্থ বলিয়াই প্রতিপন্ন করিব, তাহা হইলে আমার আর আলোচনার প্রয়োজন নাই।

প্রতিবাদীঃ ‘গ্রন্থকার জীবিত নাই বা উপস্থিত নাই, গ্রন্থ নিজেও অচেতন পদার্থ বলিয়া কোন প্রতিবাদ করিতে পারিবে না। সুতরাং এই সুযোগে গবেষকনাম বাহির করিয়া লই’ এইরূপ ইচ্ছার বশবর্তী হইয়া আপনারাও যদি মূলগ্রন্থ গীতাকে প্রক্ষিপ্ত বলিতে চান, তাহা হইলে আমারও বিবাদে প্রয়োজন নাই। তবে, সর্বপ্রযত্নে গীতাকে মূলগ্রন্থ বলিয়াই প্রতিপন্ন করিতে হইবে এরূপ কোন প্রতিজ্ঞা আমার নাই বা সেরূপ ইচ্ছাও নাই।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ তাহা হইলে বলুন দেখি, যে দুর্য্যোধন বাল্যকাল হইতেই বিদ্বেষের বশবর্তী হইয়া বিষপ্রয়োগ, জলে নিক্ষেপ এবং অগ্নিতে দগ্ধ করিয়া মারিয়া ফেলিবার চেষ্টা করিয়াছে, সেই দুর্য্যোধন প্রভৃতিরই “সমাভাষ্য প্রহর্ত্তব্যং ন বিশ্বস্তে ন বিহ্বলে” এই কথাটুকুর উপরে বিশ্বাস করিয়া ঐরূপ সময়ে কৃষ্ণ ও অর্জুনের মত লোকচরিত্রাভিজ্ঞ বুদ্ধিমান লোকদের অন্নমনস্ক হওয়া কি সম্ভবপর হয়?

প্রতিবাদীঃ অবশ্বই হয়। কেন না, সে সময়ে অসাধারণ ধার্মিক ভীষ্ম কৌরবপক্ষের ‘প্রধান সেনাপতি ছিলেন এবং তিনিও সেই নিয়মপ্রবর্তকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। সুতরাং তাঁহার আদেশ ব্যতীত কৌরবপক্ষের কাহারও কিছু করিবার ক্ষমতা ছিল না। তা’র পর কৃষ্ণ ও অর্জুন কচি খোকা ছিলেন না। উভয়েই অতিরথ ও অদ্বিতীয় মহাবীর ছিলেন একথা সকলেই জানিত। অতএব দৌড়াইয়া যাইয়া তাঁহাদিগকে সংহার করিবার সাহস বা তীর ছুটাইয়া মারিয়া ফেলিবার ভরসা কাহারও হয় নাই, কিংবা তাঁহারাও সেরূপ আশঙ্কা করেন নাই। তাই তাঁহাদের গীতার আলোচনায় অন্তমনস্ক হওয়া অসম্ভর হয় নাই।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ আচ্ছা যা হোক। পুরাণরচয়িতা বেদব্যাস চিরকালই সাপের গল্প ও ব্যাঙের গল্প প্রকৃতিই লিখিয়া আসিয়াছেন, এ অবস্থায় তিনি যে গীতার মত সমস্ত সম্প্রদায়ের উপযোগী মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করিতে পারিয়াছিলেন, ইহা কি করিয়া বিশ্বাস করিতে পারি?

প্রতিবাদীঃ এইবার আধুনিক রুচির অনুরূপ কথাই বলিয়া ফেলিয়াছেন।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ আপনার সেকেলে ধরণের কথা শুনিব বলিয়া।

প্রতিবাদীঃ মহাশয়। সে কাল যে হিন্দুর সুবর্ণযুগ ছিল, তাহা জানেন? সে যাহা হউক, বেদব্যাস কেবল পুরাণই রচনা করিয়া যান নাই, তিনি অধ্যাত্মবিষয়ের চরম গ্রন্থ বেদান্তদর্শন এবং পাতঞ্জলভাষ্যপ্রভৃতিও লিখিয়া গিয়াছেন।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ তবে কি আপনি মনে করেন যে, বেদব্যাস একজনই ছিলেন?

প্রতিবাদীঃ বেদব্যাস একজন বা অনেক জন ছিলেন, এই বিষয় লইয়া আলোচনা করা এ প্রবন্ধের উদেশ্য নহে; তবে এই মাত্র বলিতে পারি যে, এই মহাভারতেরই উদ্যোগপর্ব্বে ‘সানৎসুজাত-‘নামে যে অধ্যাত্মশাস্ত্র দেখিতে পাই, তাহা যদি বেদব্যাস রচনা করিতে পারিয়া থাকেন, তবে এই গীতাও যে তিনি রচনা করিতে পারিয়াছিলেন, এবিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। বেদব্যাসের মত জ্ঞানী লেখক ভারতবর্ষে আর কেহ জন্মিয়াছিলেন বলিয়াও মনে হয় না।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ সে যাহা হউক। শুনিতে পাই – জাভাদ্বীপের মহাভারতে নাকি ভগবদ্‌গীতা নাই। সুতরাং ভগবদ্‌গীতা যদি মহাভারতের মৌলিক অংশই হইত, তবে জাভাদ্বীপের মহাভারতেও তাহা অবশ্যই থাকিত।

প্রতিবাদীঃ অবশ্যই থকিত একথা বলিতে পারেন না। কারণ, জাভাদ্বীপবাসীরা প্রথমে হিন্দু ছিল, মধ্যে বৌদ্ধ হইয়াছিল, পরে মুসলমান হইয়াছে। এ অবস্থায় তাহারা যখন হিন্দু ছিল, তখন তাহাদের মহাভারতে ভগবদ্‌গীতা ছিল বলিয়াই মনে করা যাইতে পারে; তা’র পর তাহারা যখন বৌদ্ধ এবং মুসলমান হইয়াছিল, সম্ভবতঃ তখন তাহাদের মহাভারত হইতে গীতা এবং ঐরূপ ঈশ্বরের মূর্তিবোধক অংশগুলি নিষ্কাশিত হইয়াছিল। কেন না, বৌদ্ধ ও মুসলমানদের মতে ঈশ্বরের মূর্ত্তি নাই; অথচ ভগবদ্গীতার বক্তা কৃষ্ণ আপনাকে(নিজেকে) বহু স্থানে ঈশ্বর বলিয়া প্রকাশ করিয়াছেন এবং অর্জুনকে বিশ্বরূপ দেখাইয়া তাহা প্রমাণিতও করিয়াছেন, আবার পার্থসারথিমূর্তিতে সকলের দৃষ্টিগোচরও হইয়াছেন। এ ক্ষেত্রে বৌদ্ধ ও মুসলমানদের ঐ গীতা যে বিরক্তিকর হইবে, তাহাতে আর সন্দেহ কি?। আর এক কথা, জাভাদ্বীপের ভাষায় সে দেশের মহাভারতের যখন অনুবাদ হইয়াছিল, তদবধি তাহাদের মহাভারতে বহু উপাখ্যান নূতন প্রবেশ করিয়াছে, অনেক বিষয় নিষ্কাশিত হইয়াছে এবং বহু স্থান অত্যন্ত বিকৃত হইয়াছে। এ অবস্থায় সে দেশের মহাভারতে গীতা না থাকিলেও তাহা গীতার অমৌলিকতা প্রমাণিত করিতে পারে না।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ ভাল। গীতার মৌলিকতা সম্বন্ধে আপনি কোন নির্দোষ যুক্তি দেখাইতে পারেন কি?

প্রতিবাদীঃ অবশ্যই পারি। মহাভারতের পূর্বাপর স্থানগুলি পর্যালোচনা করিয়া দেখিলে দেখা যাইবে যে, অন্যান্য স্থানে যেরূপ ভাষা, যেমন ভাব, যে প্রকার ছন্দ এবং যে জাতীয় অপাণিনীয় (আর্য) প্রয়োগ আছে, গীতাতেও সেইরূপই সে সমস্ত আছে।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ এ সকল বিষয়ে যথেষ্ট মতভেদও আছে।

প্রতিবাদীঃ থাক, শঙ্করাচার্য্য, শ্রীধরস্বামী ও মধুসূদনসরস্বতীপ্রভৃতি যোগী মহাপুরুষগণ নিঃশঙ্কচিত্তেই এই গীতার ভাষ্য ও টীকা রচনা করিয়া গিয়াছেন। ইহাতেও গীতার মৌলিকতাই প্রমাণিত হয়।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ গীতা প্রক্ষিপ্ত বা মৌলিকগ্রন্থ এ বিষয়ে শঙ্করপ্রভৃতি কোন অনুসন্ধান করিয়াছিলেন বলিয়া মনে হয় না। কারণ, তাহা করিয়া থাকিলে, শ্রীধরস্বামী যেমন শ্রীমদ্ভাগবতের প্রথমে তাহার মহাপুরাণত্ব স্থাপনের চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন, সেইরূপ গীতার প্রারম্ভেও শঙ্করপ্রভৃতির– অন্তত শ্রীধরস্বামীর কিছু লেখা থাকিত। সুতরাং উহাদের ভাষ্য ও টীকা থাকায় এইমাত্র প্রমাণিত হয় যে, উহাদের সময়ে মহাভারতে গীতা ছিল।

প্রতিবাদঃ তা’র পর গীতায় যে সকল আধ্যাত্মিক শ্লোক আছে, তাহার প্রায় শ্লোকই মহাভারতের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রসঙ্গে উল্লিখিত রহিয়াছে।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ ভাল, তাহা হইলে অবশ্যই একথা বলা যায় যে, মহাভারত রচনায় পরে কোন বিশিষ্ট বিদ্বান্ লোক মহাভারতের সেই সকল স্থান হইতে আধ্যাত্মিক শ্লোকগুলিকে একত্র করিয়া, মধ্যে মধ্যে নিজেও কিছু কিছু লিখিয়া, ‘ভগবদ্গীতা ‘নাম দিয়া ভীষ্মপর্বে সন্নিবেশিত করিয়া গিয়াছেন।

প্রতিবাদীঃ তাহাও হইতে পারে না। কারণ, মহাভারতের আদিপর্বের দ্বিতীয় অধ্যায়টীর নাম ‘পর্ব্বসংগ্রহ অধ্যায়’। তাহাতে কোন পর্ব্বে কতগুলি অধ্যায়, কতগুলি শ্লোক, কতগুলি উপপর্ব্ব এবং কি কি বৃত্তান্ত আছে, তাহা মহর্ষি বেদব্যাস নিজেই সূচীপত্রের ভাবে লিখিয়া রাখিয়া গিয়াছেন। তাহাতে দেখিতে পাই-

“পর্বোক্তং ভগবদ্‌গীতা পর্ব্ব ভীষ্মবধস্ততঃ”

ইহার পরে আবার লেখা আছে-

“কশ্মলং যত্র পার্থস্য বাসুদেবো মহামতিঃ।

মোহজং নাশয়ামাস হেতুভির্মোক্ষদশিভিঃ।।”

তা’র পর আবার আশ্বমেধিকপর্বে অংগীতাপ্রকরণে স্বয়ং কৃষ্ণই অর্জুনের নিকটে বলিয়াছেন-

“পূর্বমপ্যেতদেবোক্তং যুদ্ধকাল উপস্থিতে।

ময়া তব মহাবাহো! তন্মাদত্র মনঃ কুরু।।”

(বঙ্গবাসীর পুস্তকে ও কুম্ভঘোণমের পুস্তকে আশ্বমেধিকপর্বে অনুগীতাপ্রকরণে ৫১ অধ্যায়ে ৪৯ শ্লোক) অতএব বেদব্যাস আদিপর্বে ভগবদ্গীতাকে একটী উপপর্ব্ব বলিয়াছেন এবং তাহার বৃত্তান্ত লিখিয়াছেন, আবার কৃষ্ণ আশ্বমেধিকপর্কে অনুগীতাপ্রকরণে অর্জুনকে সেই ভগবদ্গীতার বিষয়ই স্মরণ করাইয়া দিয়াছেন। এ অবস্থায় কোন রূপেই ভগবদ্‌গীতাকে সংগ্রহগ্রন্থ কিংবা প্রক্ষিপ্ত বলা যায় না।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ (ঈষৎ হাস্ত করিয়া) যদি সেই অংশগুলিকেও প্রক্ষিপ্ত বলি?

প্রতিবাদীঃ তাহা হইলে, সম্পূর্ণ মহাভারতটাকেই কিংবা নিজেকেই প্রক্ষিপ্ত বলিয়া আমাকে নিষ্কৃতি দিয়া যান।

 

(মহাভারতের ভারতকৌমুদী টীকার অনুবাদক হরিসিদ্ধান্ত বাগীশ ভট্টাচার্য মহোদয় ভীষ্মপর্বের পঞ্চবিংশতি অধ্যায়ে ভগবদ্গীতা আলোচনার প্রাক্কালে উদ্ধৃতাংশটুকু বর্ণনা করেছেন। যা এখানে হুবুহু তুলে ধরা হয়েছে)

সংকলনেঃ স্বধর্মম্‌

Visit: www.svadharmam.com

 

Navanila

Writer & Admin

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments