ছাগল-মহিষ বলি নয়!
কালীসাধক রামপ্রসাদ ৬ রিপুকে বলি দিতে বলেছেন !!
হিন্দু সমাজের অন্যতম সংস্কারক কালীসাধক রামপ্রসাদ সেন পশুবলি কুপ্রথা বিরুদ্ধে ছিলেন সরব। ধর্মের মিথ্যা দোহাই দিয়ে পশুহত্যা করে মন্দিরকে কসাইখানায় পরিনত করাকে নিন্দার দৃষ্টিতে দেখতেন শুদ্ধ সরল হৃদয় মাতৃসাধক রামপ্রসাদ সেন। নিজের ভিতরে থাকা কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য নামক ষড় রিপুরূপী অসুরকে বলি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মায়ের আশীর্বাদপুষ্ট এ কালীসাধক, রচনা করেন কালবিজয়ী একাধিক রামপ্রসাদী শ্যামাসঙ্গীত।
“মেষ ছাগল মহিষাদি,
কাজ কী রে তোর বলিদানে ।
তুমি জয় কালী জয় কালী বলে,
বলি দেও ষড় রিপুগণে ॥
তুমি জয় কালী বলি দেও করতালি,
মন রাখো সেই শ্রীচরণে ॥”
তামসিক পুজারীরা কামনা বাসনা চরিতার্থে অবলা জীবের রক্ত কালীর নিকট মানত করে। কালীসাধক রামপ্রসাদ তাদের সর্তক করে বলেছেন অবলা জীবের জীবন নিয়ে মা কালীর সাথে ঘুষের ব্যবসা চলবে না। কারণ, মা কখনো সন্তানের রক্ত চান না।
“মেষ-মহিষ আর ছাগলছানা।
জানিস মুক্তকেশী কালী আমার।
কারো কাছে ঘুষ খাবেনা।।”
যুগে যুগে হিন্দু সমাজে মহান কিছু সমাজ সংস্কারকের মুহুর্মুহু প্রচেষ্টায় হিন্দু সমাজ হতে যেরূপে সতীদাহ কিংবা নরবলির মতো কুপ্রথার বিলুপ্তি ঘটেছে, ঠিক তেমনিভাবে বর্তমানে জাগ্রত সচেতন হিন্দু সমাজের অবারিত প্রচেষ্টায় তামসিক পূজা বহুলাংশে কমে গেছে, ধীরে ধীরে পূজায় পশুবলি, মদ-মাদক সেবন কিংবা ডিজে বাজানোর মতো কুপ্রথা অনেক কমেছে। আশা করা যায়, অতি অল্প সময়ের মধ্যে এ সমস্ত কুপ্রথা থেকে সনাতনী সমাজ মুক্ত হবে, সমুন্নত হবে সাত্ত্বিক চেতনা।
।। হরে কৃষ্ণ ।।
[ বি:দ্র: স্বধর্মম্-এর অনুমোদন ব্যাতীত এই লেখার কোনো অংশ পুনরুৎপাদন, ব্যবহার, কপি পেস্ট নিষিদ্ধ। স্বধর্মম্-এর সৌজন্যে শেয়ার করার জন্য উন্মুক্ত ]
নিবেদক-
° স্বধর্মম্: প্রশ্ন করুন | উত্তর পাবেন °