শ্রীমদ্ভগবদগীতার গুরুত্বপূর্ণ শ্লোকাবলি

20240912_143753

গীতা শ্লোক ৪.৩৭

যথৈধাংসি সমিদ্বোহগ্নির্ভস্মাৎ কুরুতেহর্জুন।

জ্ঞানাগ্নিঃ সর্বকর্মাণি ভস্মসাৎ কুরুতে তথা।।

অনুবাদ:

প্রবলরূপে প্রজ্বলিত অগ্নি যেমন কাষ্ঠকে ভস্মসাৎ করে, হে অর্জুন! তেমনই জ্ঞানাগ্নিও সমস্ত কর্মকে দগ্ধ করে ফেলে।

গীতা শ্লোক ৪.৩৮

ন হি জ্ঞানেন সদৃশং পবিত্রমিহ বিদ্যতে।

তৎ স্বয়ং যোগসংসিদ্ধঃ কালেনাত্মনি বিন্দতি।।

অনুবাদ:

এই জগতে চিন্ময় জ্ঞানের মতো পবিত্র আর কিছুই নেই। এই জ্ঞান সমস্ত যোগের পরিপক্ক ফল। যোগ অনুশীলনের মাধ্যমে যিনি সেই জ্ঞান আয়ত্ত করেছেন, তিনি কালক্রমে আত্মায় পরা শান্তি লাভ করেন।

গীতা শ্লোক ৫.১৮

বিদ্যাবিনয়সম্পন্নে ব্রাহ্মণে গবি হস্তিনি ।

শুনি চৈব শ্বপাকে চ পণ্ডিতাঃ সমদর্শিনঃ ॥

অনুবাদ:

জ্ঞানবান পণ্ডিতেরা বিদ্যা-বিনয়সম্পন্ন ব্রাহ্মণ, গাভী, হস্তী, কুকুর ও চণ্ডাল সকলের প্রতি সমদর্শী হন।

গীতা শ্লোক ৬.৬

বন্ধুরাত্মাত্মনস্তস্য যেনৈবাত্মাত্মনা জিতঃ।

অনাত্মনস্ত শত্রুত্বে বর্তেতাত্মৈব শত্রুবৎ।।

অনুবাদ:

যে নিজের মনকে জয় করিয়াছেন,তাঁহার সেই মনই বন্ধু অর্থাৎ বন্ধুর মত হিতকারী; কিন্তু অজিতমনা ব্যক্তির সেই মনই শত্রুর ন্যায় সর্ব্বদা অপকারে প্রবৃত্ত হইয়া থাকে।

গীতা শ্লোক ২.১৫

যং হি ন ব্যথয়ন্ত্যেতে পুরুষং পুরুষর্ষভ।

সমদুঃখসুখং ধীরং সোহমৃতত্বায় কল্পতে।।

অনুবাদ:

হে পুরুষশ্রেষ্ঠ (অর্জুন)। যে জ্ঞানী ব্যক্তি সুখ ও দুঃখকে সমান জ্ঞান করেন এবং শীত ও উষ্ণ আদি দ্বন্দ্বে বিচলিত হন না, তিনিই মুক্তি লাভের প্রকৃত অধিকারী।

গীতা শ্লোক ২.২০

ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিন্

 নায়ং ভূত্বা ভবিতা বা ন ভূয়ঃ।

অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পুরাণো

ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে।।

অনুবাদ:

আত্মার কখনও জন্ম হয় না বা মৃত্যু হয় না, অথবা পুনঃ পুনঃ তাঁর উৎপত্তি বা বৃদ্ধি হয় না। তিনি জন্মরহিত, শাশ্বত, নিত্য এবং পুরাতন হলেও চিরনবীন। শরীর নষ্ট হলেও আত্মা কখনও বিনষ্ট হয় না।

গীতা শ্লোক ২.২২

বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়

নবানি গৃহ্বাতি নরোহপরাণি।

তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণান্য-

ন্যানি সংযাতি নবানি দেহী।। ২২।।

অনুবাদ:

মানুষ যেমন জীর্ণ বস্ত্র পরিত্যাগ করে নতুন বস্ত্র পরিধান করে, দেহীও তেমনই জীর্ণ শরীর ত্যাগ করে নতুন দেহ ধারণ করেন।

গীতা শ্লোক ২.২৭

জাতস্য হি ধ্রুবো মৃত্যুর্ধ্রুবং জন্ম মৃতস্য চ।

তস্মাদপরিহার্যেহর্থে ন ত্বং শোচিতুমর্হসি।। ২৭।।

অনুবাদ:

যার জন্ম হয়েছে তার মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী এবং যার মৃত্যু হয়েছে তার জন্মও অবশ্যম্ভাবী। অতএব অপরিহার্য কর্তব্য সম্পাদন করার সময় তোমার শোক করা উচিত নয়।

গীতা শ্লোক ২.৩৮

সুখদুঃখে সমে কৃত্বা লাভালাভৌ জয়াজয়ৌ।

ততো যুদ্ধায় যুজ্যত্ব নৈবং পাপমবাল্যসি।। ৩৮।।

অনুবাদ:

সুখ-দুঃখ, লাভ-ক্ষতি ও জয়-পরাজয়কে সমান জ্ঞান করে তুমি যুদ্ধের নিমিত্ত যুদ্ধ কর, তা হলে তোমাকে পাপভাগী হতে হবে না।

গীতা শ্লোক ২.৪০

নেহাভিক্রমনাশোহস্তি প্রত্যবায়ো ন বিদ্যতে।

স্বল্পমপ্যস্য ধর্মস্য ত্রায়তে মহতো ভয়াৎ।।

অনুবাদ:

ভক্তিযোগের অনুশীলন কখনও ব্যর্থ হয় না এবং তার কোনও ক্ষয় নেই। তার স্বল্প অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠাতাকে সংসাররূপ মহাভয় থেকে পরিত্রাণ করে।

গীতা শ্লোক ২.৪৭

কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন।

মা কর্মফলহের্তুভূর্মা তে সঙ্গোহস্ত্বকর্মণি।। ৪৭।।

অনুবাদ:

স্বধর্ম বিহিত কর্মে তোমার অধিকার আছে, কিন্তু কোন কর্মফলে তোমার অধিকার নেই। কখনও নিজেকে কর্মফলের হেতু বলে মনে করো না, এবং কখনও স্বধর্ম আচরণ না করার প্রতিও আসক্ত হয়ো না।

গীতা শ্লোক ২.৪৮

যোগস্থঃ কুরু কর্মাণি সঙ্গং ত্যত্ত্বা ধনঞ্জয়।

সিদ্ধ্যসিদ্ধ্যোঃ সমো ভূত্বা সমত্বং যোগ উচ্যতে।।৪৮।।

অনুবাদ:

হে অর্জুন! ফলভোগের কামনা পরিত্যাগ করে ভক্তিযোগস্থ হয়ে স্বধর্ম-বিহিত কর্ম আচরণ কর। কর্মের সিদ্ধি ও অসিদ্ধি সম্বন্ধে যে সমবুদ্ধি, তাকেই যোগ বলা হয়।

গীতা শ্লোক ২.৬৩

ক্রোধাদ্ ভবতি সম্মোহঃ সম্মোহাৎ স্মৃতিবিভ্রমঃ।

স্মৃতিভ্রংশাদ বুদ্ধিনাশো বুদ্ধিনাশাৎ প্রণশ্যতি।। ৬৩।।

অনুবাদ:

ক্রোধ থেকে সম্মোহ, সম্মোহ থেকে স্মৃতিবিভ্রম, স্মৃতিবিভ্রম থেকে বুদ্ধিনাশ এবং বুদ্ধিনাশ হওয়ার ফলে সর্বনাশ হয়। অর্থাৎ, মানুষ পুনরায় জড় জগতের অন্ধকূপে অধঃপতিত হয়।

গীতা শ্লোক ৪.২১

নিরাশীর্যতচিত্তাত্মা ত্যক্তসর্বপরিগ্রহঃ।

শারীরং কেবলং কর্ম কুর্বন্নাপ্নোতি কিল্বিষম্।।

অনুবাদ:

জ্ঞানী ব্যক্তি তাঁর মন ও বুদ্ধিকে সর্বতোভাবে সংযত করে কার্য করেন। তিনি প্রভুত্ব করার প্রবৃত্তি পরিত্যাগ করে কেবল জীবন ধারণের জন্য কর্ম করেন। এভাবেই কর্ম করার ফলে কোন রকম পাপ তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না।

গীতা শ্লোক ৪.২২

যদৃচ্ছালাভসন্তুষ্টো দন্দ্বাতীতো বিমৎসরঃ।

সমঃ সিদ্ধাবসিদ্ধৌ চ কৃত্বাপি ন নিবধ্যতে।।

অনুবাদ:

যিনি অনায়াসে যা লাভ করেন, তাতেই সন্তুষ্ট থাকেন, যিনি সুখ-দুঃখ, রাগ-দ্বেষ আদি দ্বন্দ্বের বশীভুত হন না এবং মাৎসর্যশূন্য যিনি কার্যের সাফল্য ও অসাফল্যে অবিচলিত থাকেন, তিনি কর্ম সম্পাদন করলেও কর্মফলের দ্বারা কখনও আবদ্ধ হন না।

গীতাশ্লোক ৪.৩৪

তদ্ বিদ্ধি প্রণিপাতেন পরিপ্রশ্নেন সেবয়া।

উপদেক্ষ্যন্তি তে জ্ঞানং জ্ঞানিনস্তত্ত্বদর্শিনঃ।।

অনুবাদ:

সদগুরুর শরণাগত হয়ে তত্ত্বজ্ঞান লাভ করার চেষ্টা কর। বিনম্র চিত্তে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা কর এবং অকৃত্রিম সেবার দ্বারা তাঁকে সন্তুষ্ট কর। তা হলে সেই তত্ত্বদ্রষ্টা পুরুষেরা তোমাকে জ্ঞান উপদেশ দান করবেন।

গীতা শ্লোক ৪.৪০

অজ্ঞশ্চাশ্রদ্দধানশ্চ সংশয়াত্মা বিনশ্যতি।

নায়ং লোকোহন্তি ন পরো ন সুখং সংশয়াত্মনঃ।।

অনুবাদ:

অজ্ঞ ও শাস্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাহীন ব্যক্তি কখনই ভগবদ্ভক্তি লাভ করতে পারে না। সন্দিগ্ধ চিত্ত ব্যক্তি ইহলোকে সুখভোগ করতে পারে না এবং পরলোকেও সুখভোগ করতে পারে না।

গীতা শ্লোক ৪.৪১

যোগসংন্যস্তকর্মাণং জ্ঞানসংছিন্নসংশয়ম্।

আত্মবন্তং ন কর্মাণি নিবধ্নন্তি ধনঞ্জয়।।৪১।।

অনুবাদ:

হে ধনঞ্জয়! যিনি নিষ্কাম কর্মযোগের দ্বারা কর্মত্যাগ করেন, জ্ঞানের দ্বারা সংশয় নাশ করেন এবং আত্মার চিন্ময় স্বরূপ অবগত হন, তাঁকে কোন কর্মই আবদ্ধ করতে পারে না।

গীতা শ্লোক ৪.৪২

তস্মাদজ্ঞানসম্ভুতং হৃৎস্থং জ্ঞানাসিনাত্মনঃ।

ছিত্ত্বৈনং সংশয়ং যোগমাতিষ্ঠোত্তিষ্ঠ ভারত।।৪২।।

অনুবাদ:

অতএব, হে ভারত! তোমার হৃদয়ে যে অজ্ঞানপ্রসূত সংশয়ের উদয় হয়েছে, তা জ্ঞানরূপ খড়্গের দ্বারা ছিন্ন কর। যোগাশ্রয় করে যুদ্ধ করার জন্য উঠে দাঁড়াও।

গীতা শ্লোক ১৮.৭৩

নষ্টো মোহঃ স্মৃতির্লব্ধা ত্বৎপ্রসাদান্ময়াচ্যুত।

স্থিতোহস্মি গতসন্দেহঃ করিষ্যে বচনং তব।।

অনুবাদ:

হে অচ্যুত! তোমার কৃপায় আমার মোহ দূর হয়েছে এবং আমি স্মৃতি লাভ করেছি। আমার সমস্ত সন্দেহ দূর হয়েছে এবং যথাজ্ঞানে অবস্থিত হয়েছি। এখন আমি তোমার আদেশ পালন করব।

গীতা শ্লোক ১৩।২৮,২৯

সমং সর্বেষু ভূতেষু তিষ্ঠন্তং পরমেশ্বরম্।

বিনশ্যৎস্ববিনশ্যন্তং যঃ পশ্যতি স পশ্যতি।।

সমং পশ্যন্ হি সর্বত্র সমবস্থিতমীশ্বরম্।

ন হিনস্ত্যাত্মনাত্মানং ততো যাতি পরাং গতিম্।।

অনুবাদ:

যিনি সমস্ত জীবের মাঝে সমানভাবে অবস্থিত বিনাশশীল দেহের মধ্যেও অবিনাশী পরমাত্মাকে দর্শন করেন, তিনিই যথার্থ দর্শন করেন। যিনি সর্বত্র সমভাবে অবস্থিত পরমাত্মাকে দর্শন করেন, তিনি কখনও মনের দ্বারা নিজেকে অধঃপতিত করেন না। এভাবেই তিনি পরম গতি লাভ করেন।

গীতা শ্লোক ৪।৭,৮

যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত।

অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মনং সৃজামহ্যম্।।৭।।

পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্।

ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে।।৮।।

অনুবাদ:

হে ভারত! যখনই ধর্মের অধঃপতন হয় এবং অধর্মের অভ্যুত্থান হয়, তখন আমি নিজেকে প্রকাশ করে অবতীর্ণ হই। সাধুদের পরিত্রাণ করার জন্য এবং দুষ্কৃতকারীদের বিনাশ করার জন্য এবং ধর্ম সংস্থাপনের জন্য আমি যুগে যুগে অবতীর্ণ হই।

গীতা শ্লোক ১২।৩,৪

যে ত্বক্ষরমনির্দেশ্যমব্যক্তং পর্যুপাসতে।

সর্বত্রগমচিন্ত্যং চ কূটস্থমচলং ধ্রুবম্।।

সংনিয়ম্যেন্দ্রিয়প্রামং সর্বত্র সমবুদ্ধয়ঃ।

তে প্রাপ্নুবন্তি মামেব সর্বভূতহিতে রতাঃ।

অনুবাদ:

যাঁরা সমস্ত ইন্দ্রিয় সংযত করে, সকল জীবের প্রতি সমভাবাপন্ন হয়ে এবং সমস্ত জীবের কল্যাণে রত হয়ে আমার অক্ষর, অনির্দেশ্য, অব্যক্ত, সর্বত্র, অচিন্ত্য, কুটস্থ, অচল, ধ্রুব ও নির্বিশেষ স্বরূপকে উপাসনা করেন, তাঁরা অবশেষে আমকেই প্রাপ্ত হন।

গীতা শ্লোক ১২।১৩,১৪

অদ্ধেষ্টা সর্বভূতানাম্ মৈত্র করণঃ এব চ ।

নির্মম্ নিরহঙ্কারঃ সম্ দুঃখ সুখ ক্ষমী ।।

সন্তুষ্টঃ সততম্ যোগী যতাত্মা দৃঢ়নিশ্চয় ।

ময়ি অর্পিত মনঃ বুদ্ধিঃ যঃ মত্ভক্তঃ স মে প্রিয়ঃ ।।

অনুবাদ:

যিনি সমস্ত জীবের প্রতি দ্বেষ শুন্য, বন্ধুভাবাপন্ন, দয়ালু, মমতাবুদ্ধিশুন্য, নিরহঙ্কার, সুখে দুঃখে সমভাবাপন্ন, সর্বদা সন্তুষ্ট, সবসময় ভক্তিযোগে যুক্ত, সংযত স্বভাব, তত্ত্ব বিষয়ে দৃঢ় নিশ্চয় এবং যার মন ও বুদ্ধি সর্বদা আমাতে অর্পিত -তিনি আমার প্রিয় ভক্ত।।

গীতা শ্লোক ১২.১৫

যস্মান্নোদ্বিজতে লোকো লোকান্নোদ্বিজতে চ যঃ

হর্ষামর্ষভয়োদ্বেগৈর্মুক্তো যঃ স চ মে প্রিয়ঃ।।

অনুবাদ:

যাঁর দ্বারা কোন জীব উদ্বেগ প্রাপ্ত হয় না, যিনি কারও দ্বারা নিজেও উদ্বেগ প্রাপ্ত হন না এবং যিনি হর্ষ, ক্রোধ, ভয় ও উদ্বেগ থেকে মুক্ত, তিনি আমার অত্যন্ত প্রিয়।

গীতা শ্লোক ৫.১৯

ইহৈব তৈর্জিতঃ সর্গো যেষাং সাম্যে স্থিতং মনঃ ।

নির্দোষং হি সমং ব্রহ্ম তস্মাদ্ ব্রহ্মণি তে স্থিতাঃ ॥

অনুবাদ:

যাঁদের মন সাম্যে অবস্থিত হয়েছে, তাঁরা ইহলোকেই জন্ম ও মৃত্যুর সংসার জয় করেছেন। তাঁরা ব্রহ্মের মতো নির্দোষ। তাই তাঁরা ব্রহ্মেই অবস্থিত হয়ে আছেন।

গীতা শ্লোক ৬.২৯

সর্বভূতস্থমাত্মানং সর্বভূতানি চাত্মনি ৷

ঈক্ষতে যোগযুক্তাত্মা সর্বত্র সমদর্শনঃ ॥

অনুবাদ:

প্রকৃত যোগী সমস্ত জীবের মধ্যে আমাকে দর্শন করেন এবং আমাতে সব কিছু দর্শন করেন ৷ যোগযুক্ত আত্মা সর্বত্রই আমাকে দর্শন করেন ।

গীতা শ্লোক ৫.৩১

সর্বভূতস্থিতং যো মাং ভজত্যেকত্বমাস্থিতঃ ৷

সর্বথা বর্তমানোহপি স যোগী ময়ি বর্ততে ॥

অনুবাদ:

যে যোগী সমস্ত জীবে স্থিত পরমাত্মা রূপে আমাকে জেনে আমার ভজনা করেন, তিনি সর্ব অবস্থাতেই আমাতে অবস্থান করেন।

গীতা শ্লোক ১৮.২০

সর্বভূতেষু যেনৈকং ভাবমব্যয়মীক্ষতে ।

অবিভক্তং বিভক্তেষু তজ্ জ্ঞানং বিদ্ধি সাত্ত্বিকম্ ॥

অনুবাদ:

যে জ্ঞানের দ্বারা সমস্ত প্রাণীতে এক অবিভক্ত চিন্ময় ভাব দর্শন হয়, অনেক জীব পরস্পর ভিন্ন হলেও চিন্ময় সত্ত্বায় তারা এক, সেই জ্ঞানকে সাত্ত্বিক বলে জানবে।

গীতা শ্লোক ১১.৫৫

মৎকর্মকৃন্মৎপরমো মদ্ভক্তঃ সঙ্গবর্জিতঃ ।

নির্বৈরঃ সর্বভূতেষু যঃ স মামেতি পাণ্ডব ॥

অনুবাদ:

হে অর্জুন ! যিনি আমার অকৈতব সেবা করেন, আমার প্রতি নিষ্ঠাপরায়ণ, আমার ভক্ত, জড় বিষয়ে আসক্তি রহিত এবং সমস্ত প্রাণীর প্রতি শত্রুভাব রহিত, তিনিই আমাকে লাভ করেন।

 

[ বি:দ্র: স্বধর্মম্-এর অনুমোদন ব্যাতীত এই গবেষণামূলক লেখার কোনো অংশ পুনরুৎপাদন, ব্যবহার, কপি পেস্ট নিষিদ্ধ। স্বধর্মম্-এর সৌজন্যে শেয়ার করার জন্য উন্মুক্ত। ]

নিবেদক-
° স্বধর্মম্: প্রশ্ন করুন | উত্তর পাবেন °

Madhura Gaurakiśora Dās

Writer & Admin

5 3 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments