সৃষ্টির মূলে একজন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বঃ
যখন আমরা বহুতল বিশিষ্ট সুসজ্জিত অট্টালিকা দেখি তখন আমরা চিন্তা করি না যে এই অট্টালিকাটি এমনি এমনি তৈরী হয়ে গেল বা বৃহৎ একটা বিষ্ফোরণ থেকে সৃষ্টি হয়েছে।বরং আমরা চিন্তা করি এই অট্টালিকাটি তৈরী করেছে একদল শ্রমিক। ঠিক তেমনই এই সুন্দর বিশ্বব্রহ্মান্ড এমনি এমনি তৈরী হয় নি,হতে পারে না।যেখানে সূর্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে আলো বিতরন করছে,চন্দ্র শুক্লপক্ষে তার কিরন বিতরন করছে,ঋতুচক্রের পালাবদল হচ্ছে,সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর মতো আরো অনেক ভারী ভারী গ্রহ শূণ্যে প্রদক্ষিণ করছে ইত্যাদি।
সুতারাং এ বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টির মূলে রয়েছে একজন ব্যক্তি, যার সুদক্ষ তত্ত্বাবধানে এ বিশ্বের সবকিছু নিখুঁত ভাবে সাধিত হচ্ছে।সনাতনী শাস্ত্র অনুসারে সে নিখুঁত কারিগর বা সৃষ্টিকর্তাকে ঈশ্বর, পরমেশ্বর, ভগবান, পরমাত্মা, পরমব্রহ্ম বলা হয়।
বদন্তি তত্তত্ত্ববিদস্তত্ত্বং যজজ্ঞানমদ্বয়ম।
ব্রহ্মেতি পরমাত্মেতি ভগবানিতি শব্দতে।।
-(শ্রীমদ্ভাগবত ১/২/১১)
অনুবাদঃ যা অদ্বয় জ্ঞান,অথাৎ এক এবং অদ্বিতীয় বাস্তব বস্তু,জ্ঞানীগণ তাকেই পরমার্থ বলেন।সেই তত্ত্ববস্তু ব্রহ্ম, পরমাত্মা ও ভগবান – এই ত্রিবিধ সংজ্ঞায় সংজ্ঞিত বা কথিত হয়।
হরে কৃষ্ণ। প্রনাম