অথর্ববেদের গোপালতাপনী উপনিষদ এবং কৃষ্ণ যজুর্বেদের নারায়ন উপনিষদ অনুসারে শ্রীকৃষ্ণ হলেন পরমেশ্বর ভগবান। “একো বশী সর্বগঃ কৃষ্ণ ঈড্যঃ”-সেই একমাত্র শ্রীকৃষ্ণই পরম পুরুষোত্তম ভগবান,তিনিই আরাধ্য। – (গোপালতাপনী উপনিষদ ১/২১)। “ব্রহ্মন্যো দেবকীপুত্রঃ”-দেবকীপুত্র শ্রীকৃষ্ণই পরমেশ্বর ভগবান। (নারায়ন উপনিষদ ৪)।”
অথর্ববেদের গোপালতাপনী উপনিষদ অনুসারে, পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ থেকে বেদের সৃষ্টি হয়।তিনিই প্রথম বেদজ্ঞান ব্রহ্মাকে দান করেন।
যো ব্রহ্মাণং বিদধাতি পূর্বং যো বিদ্যাতস্মৈ গোপয়তিস্ম কৃষ্ণ।
-গোপালতাপনী উপনিষদ১/২৪ (অথর্ববেদ)
অনুবাদঃ শ্রীকৃষ্ণ ব্রহ্মাকে প্রথমে বেদবিদ্যা প্রদান করেন।এবং তিনিই সেই জ্ঞান আদিকালে ( সৃষ্টির শুরুতে) প্রদান করেছিলেন।
কৃষ্ণ যর্জুবেদের অন্তর্গত শ্বেতাশ্বেতর উপনিষদেও একই কথা বলা হয়েছে।সেখানে বলা হয়েছে, পরমেশ্বর ভগবান প্রথম ব্রহ্মাকে বেদজ্ঞান প্রদান করেন।
যো ব্রহ্মাণং বিদধাতি পূর্বং যো বৈ বেদাংশ্চ প্রহিনোতি তমৈ।তং হ দেবমাত্মবুদ্ধি প্রকাশং মুমুক্ষুবৈ শরণমহং প্রপদ্যে।।
-শ্বেতাশ্বেতর উপনিষদ ৬/১৮ (কৃষ্ণ যজুর্বেদ)
অনুবাদঃ যিনি সৃষ্টির প্রারম্ভে ব্রহ্মাকে সৃষ্টি করেছেন,তিনি তার উদ্দেশ্যে বেদ বিদ্যা প্রেরণ করেছেন, আত্মবিষয়ক বুদ্ধির প্রকাশক সেই পরমেশ্বরের(শ্রীকৃষ্ণের) নিকট আমি শরণাপন্ন হই।
এরপর ব্রহ্মার মুখ থেকে বেদজ্ঞান প্রকাশিত হয়। ঋষিগন সে বেদজ্ঞান ধ্যানের মাধ্যমে ব্রহ্মা থেকে প্রাপ্ত হন।ঋষিগন তাদের শিষ্যদের মাঝে বেদজ্ঞান শিক্ষা প্রদান করেন।এভাবে গুরু থেকে শিষ্যক্রমে বেদজ্ঞান প্রচারিত হয়েছে।শ্রীমদ্ভাগবত১/৪/২৪ নং শ্লোকের বর্ণনা অনুসারে,দ্বাপর যুগে শেষভাগে ভগবানের শক্ত্যাবেশ অবতার ব্যাসদেব বেদকে লিপিবদ্ধ করেন।
হরে কৃষ্ণ।প্রনাম
প্রচারে-©️ স্বধর্মম্ : Connect to the inner self.