শাস্ত্র অনুসারে আমিষ খাদ্যের সংজ্ঞা – কোন কোন খাদ্য আমিষ এবং বর্জনীয়!!
পদ্মপুরাণ এসম্পর্কে বলা হয়েছে-
জম্বীরমামিষং চূর্ণমন্নং পৰ্য্যুষিতং দ্বিজ ।
ধান্যে মসূরিকা প্রোক্তা গবাং দুগ্ধমনামিষম।।
লবণং ভূমিজং বিপ্র প্রাণ্যঙ্গমামিষং খলু।
দ্বিজক্রীতা রসাঃ সর্ব্বে জলং চাল্পসরঃস্থিতম।।
[ পদ্মপুরাণ, স্বর্গখন্ডম, অধ্যায় ৪৭, শ্লোক ১৮-১৯ ]
অনুবাদ:
জম্বীর, বাসি অন্ন এবং শস্যের মধ্যে মসূর ডাল আমিষ বলে নির্দেশিত। গরুর দুগ্ধ কিন্তু আমিষ নয়। ভূমিজ লবণ ও প্রাণির অঙ্গ অর্থাৎ মাছ-মাংস-ডিমকে আমিষ বলে জানবে । দ্বিজক্রীত সৰ্ব্ববিধ রস এবং অল্প সরোবরস্থিত জলও আমিষ।
( উল্লেখ্য, শাস্ত্রের সংজ্ঞানুসারে সংস্কৃত শব্দ ‘আমিষ’ ও ইংরেজিতে ‘প্রোটিন’ শব্দ একই অর্থ বহন করে না। ইংরেজি ‘প্রোটিন’ শব্দের শুদ্ধ আভিধানিক বাংলা প্রতিশব্দ হলো ‘দেহসার’ যা একটি পুষ্টি উপাদান বিশেষকে নির্দেশ করে। অপরদিকে সাধারণ অর্থে সংস্কৃতে ‘আমিষ’ শব্দ দ্বারা বর্জনীয়/পাপ-আহারকে বুঝানো হয়।)
।।হরে কৃষ্ণ।।
[ বি:দ্র: স্বধর্মম্-এর অনুমোদন ব্যাতীত এই গবেষণামূলক লেখার কোনো অংশ পুনরুৎপাদন, ব্যবহার, কপি পেস্ট নিষিদ্ধ। স্বধর্মম্-এর সৌজন্যে শেয়ার করার জন্য উন্মুক্ত ]
নিবেদক-
° স্বধর্মম্: প্রশ্ন করুন | উত্তর পাবেন °
Hare Krishna 🙏🙏