“বৈষ্ণব” একটি স্বতন্ত্র বর্ণ:
১)ব্রহ্মক্ষত্রিয়বিটশূদ্রাশ্চতস্রো জাতয়ো যথা।
স্বতন্ত্রজাতিরেকা চ বিশ্বেষু বৈষ্ণবাভিধা।।”
[ ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, ব্রহ্মখন্ড, ১১।৪৩ ]
বঙ্গানুবাদঃ
ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য ও শূদ্র নামে যেরূপ চারিটি জাতি আছে তদ্রূপ সমগ্র বিশ্বে বৈষ্ণব নামক একটি স্বতন্ত্র জাতি আছে।
২)ললাটাদ্বৈষ্ণবো জাতঃ ব্রাহ্মণো মুখদেশতঃ ৷
ক্ষত্রিয় বাহুমূলাচ্চ ঊরুদেশাচ্চ বৈশ্য বৈ ৷৷
জাতো বিষ্ণোঃ পদাচ্ছুদ্রঃ ভক্তিধর্ম্মবিবর্জিতঃ ৷
তস্মাদ্বৈ বৈষ্ণবঃ খ্যাতঃ চতুর্ব্বর্ণেষু সত্তমঃ ৷৷
( বৃহদ্বিষ্ণুযামল)
অনুবাদ:
শ্রী ভগবান্ বিষ্ণুর ললাট হইতে বৈষ্ণব, মুখ হইতে ব্রাহ্মণ,বাহু হইতে ক্ষত্রিয়,ঊরুদেশ হইতে বৈশ্য ,পদদেশ হইতে ভক্তিধর্ম্মবিবর্জিত শূদ্রের উৎপত্তি হইয়াছে ৷ ইহার মধ্যে যিনি বৈষ্ণব বলিয়া খ্যাত, তিনি চতুর্বর্ণ হইতেও সর্বশ্রেষ্ঠ সর্বোত্তম ৷
শ্রীহরির পবিত্র নামস্মরণ হেতু বৈষ্ণবগণ অশৌচ মুক্ত:
শাস্ত্রীয় প্রমাণ-
অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সর্বাবস্থাং গতোহপি বা
যঃ স্মরেৎপুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ।।১২
নামসংস্মরণাদেব তথা তৎপাদচিন্তনাৎ ॥ ১৩
[ পদ্মপুরাণ, পাতালখন্ড, অধ্যায় ৪৯, শ্লোক ১২-১৩]
অনুবাদ:
অপবিত্র বা পবিত্র যে কোন অবস্থাপন্ন হইয়া যে ব্যক্তি পুণ্ডরীকাক্ষকে স্মরণ করে, সে কি বাহ্য, কি অভ্যন্তর, উভয়াথাই শুচি হইয়া থাকে। ফলে ভগবানের নাম স্মরণ এবং তাঁর শ্রীপাদপদ্মের চিন্তায় সকলে সর্ব্বদা পবিত্র হয়।
নিত্য শ্রীহরির চরণামৃত পান/ধারণ হেতু বৈষ্ণবের কোন জন্মাশৌচ/মরণাশৌচ নেই:
প্রমাণ:
আশৌচং নৈব বিদ্যেত সূতকে মৃতকেছপি চ।
যেষাং পাদোদকং মুর্দ্ধি প্রাশনং যে প্রকুর্ব্বতে।
[ স্কন্দপুরাণ, বিষ্ণুখন্ডে-মার্গশীর্ষমাহাত্ম্যম, শ্লোক ৪০]
অনুবাদ:
যাহারা বিষ্ণুপাদোদক পান বা মস্তকে ধারণ করে, কি জননাশৌচ, কি মরণাশৌচ, কোন অশৌচই তাহাদের হয় না।