অনেকেই এই প্রশ্নটা করে: মাছ-মাংস খেয়ে কি ভগবানের সেবা পূজা করা যায়?
আমিষভোজী কিংবা জীবহিংসকদের বিগ্রহ অর্চন নিষিদ্ধ :
শ্রী বরাহদেব বসুন্ধরা দেবীকে সেবা অপরাধ সম্পর্কে বলেছেন-
♦”মংস্য মাংস ভক্ষণ করিয়া আমার অর্চ্চনা করা কোন ক্রমেই কৰ্ত্তব্য নহে। তাহা করিলে আমি অষ্টাদশ অপরাধ গণ্য করিয়া থাকি ।”
[ বরাহ মহাপুরাণ, অধ্যায় ১১৭, শ্লোক ২১ ]
♦জাল- পাদ, অর্থাৎ হংসাদি জলজ প্রাণি ভক্ষণ করিয়া আমার অর্চ্চনা করা ঊন- বিংশ অপরাধ ।
[ বরাহ মহাপুরাণ, অধ্যায় ১১৭, শ্লোক ২২ ]
♦”বরাহমাংস ভক্ষণ করা, ত্রয়োবিংশ অপরাধ । যদি কেহ সুরাপান করিয়া আমার অর্চ্চনা করে, আমি তাহা চতুর্ব্বিংশ অপরাধ বলিয়া গণনা করিয়া থাকি।”
[ বরাহ মহাপুরাণ, অধ্যায় ১১৭, শ্লোক ২৬,২৭ ]
তাই আমিষভোজী বা জীবহিংসকদের বিগ্রহ অর্চণ করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারা চিত্রপট কিংবা ঘট স্থাপন করে পূজা করতে পারেন। এভাবে ব্যাবহারিক ভক্তি করতে করতে একসময় যখন তাদের ভক্তিতে নিষ্ঠা আসবে,তখন তারা তাদের জিভের লালসা বর্জন করে শুদ্ধ প্রসাদভোজীতে পরিণত হবেন। তখন ভগবানই তাদের সে যোগ্যতা প্রদান করবেন। শুদ্ধ ভক্তরাই কেবল বিগ্রহ অর্চনের অধিকার রাখেন।