আমরা সবাই কম-বেশী “রামায়ণ” এর মূল কাহিনী সম্পর্কে অবগত আছি। মিত্র সুগ্রীবকে তাঁর হারানো রাজ্য এবং স্ত্রী পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে গিয়ে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র আড়াল থেকে তীর নিক্ষেপ করে সুগ্রীব এর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বালীকে হত্যা করেন। এখানে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, ভগবান শ্রীরামচন্দ্র, যিনি মর্যাদা পুরুষোত্তম, সর্বকালের আদর্শ রাজা, উন্নত চরিত্রের অধিকারী, অসাধারণ শৌর্য ও বীর্যের অধিকারী, তিনি কেন এ কাজ করলেন? এ কাজ কি অন্যায় ছিল? এ কাজ কি ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের চরিত্রে কালিমা লেপন করে? নিচের সংক্ষিপ্ত আলোচনা থেকে বিষয়গুলো স্পষ্ট হবে।
রামায়ণের কিষ্কিন্ধ্যা কাণ্ডে আমরা দেখতে পাই, রাম এবং সুগ্রীব মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ হন। সুগ্রীব রামকে প্রতিশ্রুতি দেন সীতামাতাকে উদ্ধারের কাজে তিনি রামচন্দ্রকে সাহায্য করবেন। তিনি আরও বলেন অপহরণকালে সীতামাতাকে তিনি দেখেছেন। যে গহনাগুলো মাতা পুষ্পক রথ থেকে নিচে ফেলেছিলেন সুগ্রীব সেগুলো শ্রীরামকে দেখান। রামচন্দ্রকে সুগ্রীব আশ্বস্ত করেন কিন্তু একই সঙ্গে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বালী সম্পর্কে তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ঋষ্যমূখ পর্বতের বাইরে বের হলেই বালী তাঁকে হত্যা করবে। সুগ্রীব বালীর নির্দয়তা এবং শক্তি সম্পর্কে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রকে অবহিত করেন। রামচন্দ্র বালীকে হত্যা করতে সুগ্রীবকে সাহায্য করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সুগ্রীবের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য রামচন্দ্র নিজের শক্তি,ক্ষমতা এবং ধনুর্বিদ্যার প্রমাণ দেন। সুগ্রীব এতে সাহস পান এবং বালীকে যুদ্ধে আহবান করেন। বালী রণক্ষেত্রে এসে সুগ্রীবের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হলেন। এদিকে রামচন্দ্র ঝোপের আড়ালে তীর-ধনুক নিয়ে প্রস্তুত হয়ে রইলেন।
[ রামায়ণে সুগ্রীব এবং বালীর যুদ্ধে আমরা বালীর গলাতে একটি কণ্ঠহার (কাঞ্চনী মালা) দেখতে পাই। এই কণ্ঠহার বালী ইন্দ্র কর্তৃক প্রাপ্ত হয়েছিলেন। এখানে অনেকের একটি ভুল ধারণা আছে, এই অলঙ্কার তাঁকে যার বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধ করেছেন তাঁর শক্তির অর্ধেক প্রদান করতো। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এই অলঙ্কার যুদ্ধের আগে ও পরে বালীর শক্তি সমান রাখতো (সূত্র- বাল্মীকি রামায়ণ)। ]
প্রথমে শ্রীরামচন্দ্র বালী এবং সুগ্রীবকে পৃথক করে চিনতে পারেন নি। দুইজনকে যুদ্ধরত অবস্থায় দেখতে একই রকম লাগছিল। বালীকে আঘাত করতে গিয়ে ভুলবশত সুগ্রীবকে যেন প্রহার না করেন এইজন্য রামচন্দ্র কোনও বাণ নিক্ষেপ করলেন না। সুগ্রীব প্রথম যুদ্ধে পরাজিত হন এবং পালিয়ে আসেন। রামচন্দ্র সুগ্রীবকে দ্বিতীয়বার বালীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ অবতীর্ণ হতে বলেন এবং আশ্বস্ত করেন যে তিনি বালীকে এবার হত্যা করবেনই। রামচন্দ্র কর্তৃক নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে সুগ্রীব দ্বিতীয়বার বালীকে যুদ্ধে আহবান করেন। বালীর স্ত্রী, তারা, বালীকে এবার সুগ্রীবের সাথে দ্বন্দ্বযুদ্ধে লিপ্ত হতে নিষেধ করেন। কিন্তু অহঙ্কারে মত্ত বালী স্ত্রীর কোন কথাই শুনলেন না। যুদ্ধমধ্যে সুগ্রীব রামচন্দ্রের সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেন। বালীকে লক্ষ্য করে রামচন্দ্র বাণ নিক্ষেপ করলেন। বাণ বালীর বুকে বিদ্ধ হল। রামচন্দ্র নিক্ষেপিত শক্তিশালী বাণ বুকে বিদ্ধ হওয়ার পরেও ইন্দ্রদেব প্রদত্ত কণ্ঠহারের প্রভাবে বালী সঙ্গে সঙ্গেই মারা গেলেন না।
এখানে মর্যাদা পুরুষোত্তম রামচন্দ্রের চরিত্রের ওপর প্রশ্ন উঠতেই পারে। কেনো তিনি ছলনার আশ্রয় নিলেন? কেনো তিনি লুকিয়ে থেকে বাণ নিক্ষেপ করলেন? বাণ নিক্ষেপের পরে রামচন্দ্র বালীর সম্মুখে উপস্থিত হলেন। বালী রামচন্দ্রকে উদ্দেশ্য করে গর্বিত বচনে বললেন,
“কুলীনঃ সত্ত্বসম্পন্নস্তেজস্বী চরিতব্রতঃ। / রামঃ করুণবেদী চ প্রজানাং চ হিতে রতঃ ।।
সানুক্রোশো মহোৎসাহঃ সময়জ্ঞো দৃঢ়ব্রতঃ। / ইত্যেতৎ সর্বভূতানি কথয়ন্তি যশো ভুবি ।।
দমঃ শমঃ ক্ষমা ধর্মো ধৃতিঃ সত্ত্বং পরাক্রমঃ। / পার্থিবানাং গুণো রাজন্ দণ্ডশ্চাপ্যপকারিষু ।।
তান্ গুণান্ সম্প্রধার্যাহমগ্র্যং চাভিজনং এব। / তারয়া প্রতিষিদ্ধঃ সন্ সুগ্রীবেণ সমাগতঃ ।।
ন মামনোন সংরব্ধং প্রমত্তং বেদ্ধুমর্হসি। / ইতি তে বুদ্ধিরুৎপন্না বভূবাদর্শনে তব ।।
স ত্বং বিনিহতাত্মানং ধর্মধ্বজমধার্মিকম্। / জানে পাপসমাচারং তৃণৈঃ কৃপামবাবৃতম্ ।।
সত্যং বেশধরং পাপং প্রচ্ছন্নমিব পাবকম্। / নাহং ত্বামভিজানামি ধর্মচ্ছদ্মাভিসংবৃতম্ ।।
(বাল্মীকি রামায়ণ ৪। ১৭। ১৭-২৩)
অর্থাৎ, পৃথিবীর সকল লোকেই বলে যে রাম মহাকুলজাত বীর্যবান তেজস্বী, ব্রতচারী, করুণাশীল, প্রজাহিতে রত, অনুকম্পাপরায়ন, উৎসাহশীল, কালাকালজ্ঞ এবং অধ্যবসায়ী। দম, শম, ক্ষমা, ধর্ম, বীর্য, পরাক্রম, দণ্ডবিধান – এইসব রাজোচিত গুণ ও শ্রেষ্ঠ আভিজাত্য তোমার আছে এই ধারণায় আমি তারার নিষেধ না শুনে সুগ্রীবের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এসেছিলাম। তোমাকে দেখার পূর্বে ভেবেছিলাম, আমি অন্যের সঙ্গে যুদ্ধে রত আছি, এই অসতর্ক অবস্থায় রাম আমাকে মারবেন না। এখন জানলাম, তুমি দুরাত্মা, ধর্মধ্বজী অধার্মিক, তৃণাবৃত কূপ ও প্রচ্ছন্ন অগ্নির ন্যায় সাধুবেশী পাপাচারী। তোমার ধর্মের কপট আবরণ আমি বুঝতে পারি নি।
হত্বা বাণেন কাকুংস্থ মামিহানপরাধিনম্। / কিং বক্ষ্যসি সত্যং মধ্যে কর্ম কৃত্বা জুগুপ্সিতম্ ।।
(বাল্মিকী রামায়ণ ৪। ১৭। ৩৫)
– কাকুংস্থ, বিনা অপরাধে আমাকে শরাঘাতে বধ করেছো, এই গর্হিত কর্ম করে সাধুসমাজে তুমি কি বলবে?
তারপর বালী আরও বললেন, আমার চর্ম, লোম, অস্থি কিছুই তোমার ন্যায় ধার্মিকের কাজে লাগবে না। আমি পঞ্চনখ হলেও আমার মাংস অভক্ষ্য। তুমি আমাকে বৃথাই বধ করেছো। সর্বজ্ঞা তারার হিতবাক্য না শুনে আমি আজ কালের কবলে পড়েছি। সুগ্রীবের হিতকামনায় আমায় মেরেছো, কিন্তু যদি সাহায্যের জন্য আমার কাছে আস্তে,আমি একদিনেই রাবণকে হত্যা করে সীতামাতাকে তোমার কাছে ফিরিয়ে দিতাম। কিন্তু এভাবে লুকিয়ে থেকে পেছন থেকে শরাঘাত করে অধর্মত আমায় বধ করা কি তোমার উচিত হয়েছে? তুমি একটু ভেবে উত্তর দাও।
বালীর মুখ থেকে এ হেন কঠোর বাক্য শ্রবণ করে রামচন্দ্র বালীকে বললেন,
ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষের প্রকৃত জ্ঞান ব্যতিরেকে অজ্ঞানতাবশত তুমি কেন আমায় দোষারোপ করছো? এই শৈলকাননসমন্বিত দেশ ইক্ষ্বাকুর অধিকৃত, ধর্মাত্মা ভরত এর শাসনকর্তা। আমি এবং অন্য রাজারা ধর্মের প্রসারার্থে তাঁর আদেশে পৃথিবীর সর্বত্র বিচরণ করছি। আমরা প্রত্যেকে ধর্ম ও ন্যায় রক্ষার্থে নিয়োজিত এবং যে বা যারা ধর্মপথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে তাদের শাস্তি প্রদান করা অবশ্য কর্তব্য। তুমি কামপরায়ণ, রাজধর্ম পালন কর না, তোমার বিগর্হিত কর্মে ধর্ম পীড়িত হয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য, মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরামচন্দ্র নিজেকে ভগবানরূপে প্রতিষ্ঠিত না করে তাঁরই কনিষ্ঠ ভ্রাতা ভরতের একজন সেবকরূপে নিজেকে উপস্থাপন করলেন। তিনি বললেন,
তদেতৎ কারণং পশ্য যদর্থং ত্বং ময়া হতঃ। / ভ্রাতুর্বর্তসি ভার্যায়াং ত্যক্ত্বা ধর্মং সনাতনম্ ।।
অস্য ত্বং ধরমাণস্য সুগ্রীবস্য মহাত্মনঃ। / রুমায়াং বর্তসে কামাৎ স্নুষায়াং পাপকর্মকৃৎ ।।
তদ্ ব্যতীতস্য তে ধর্মাৎ কামবৃত্তস্য বানর। / ভ্রাতৃভার্যাভিমর্শেহস্মিন্ দণ্ডোঽয়ং প্রতিপাদিতঃ ।।
(বাল্মিকী রামায়ণ ৪। ১৮। ১৮-২০)
– কেন তোমাকে বধ করছি তার কারণ শোনো। তুমি সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ভ্রাতৃজায়াকে গ্রহণ করেছো। তুমি পাপাচারী, মহাত্মা সুগ্রীব জীবিত আছেন। তাঁর পত্নী রুমা তোমার পুত্রবধূস্থানীয়া, কামবশে তুমি তাঁকে অধিকার করেছো। বানর, তুমি ধর্মহীন, কামাসক্ত, ভ্রাতৃবধূকে ধর্ষণ করেছো। এইজন্য এই দণ্ডবিধান তোমার পক্ষে বিহিত।
রামচন্দ্র আরও বললেন, সুগ্রীব আমার সখা। তাঁর পত্নী ও রাজ্য উদ্ধারের নিমিত্ত আমি প্রতিজ্ঞা করেছি। কী করে আমার বচন আমি ভঙ্গ করতে পারি?
[ যদিও বালী এক দিনের মধ্যে সীতামাতাকে উদ্ধার করতে পারতেন এবং রাবণকে বধ করতে পারতেন, ভগবান সেই পথ চয়ন করেন নি কারণ তা ছিল ধর্মবিরুদ্ধ। ধর্মপথ অনুসরণ করে তিনি দীর্ঘসময় অপেক্ষা করে উপযুক্ত সময়ের প্রতীক্ষায় ছিলেন। ]
ভগবান বললেন, “ তোমাকে আমি ক্রোধবশত বধ করি নি, বধ করে আমার মনস্তাপও হয় নি। তোমায় বধ করার অন্য একটি কারণ শ্রবণ করো। লোকে ফাঁদ, জাল বা পাশ বিছিয়ে অথবা অন্য কোনও উপায়ে মৃগ ধরে থাকে। মৃগ নিশ্চিন্ত বা ত্রস্ত, সতর্ক বা অসতর্ক যেমনই থাকুক না কেনো, মাংসাশী লোক তাকে বধ করলে তাতে কোনো দোষ হয় না। এমনকি অনেক রাজর্ষি যাঁরা ধার্মিক এবং পূণ্যবান, বন্য পশু হতে লোকজনকে রক্ষা করতে অথবা ধর্ম রক্ষার্থে মৃগয়ায় (শিকারে) যান। তাই তুমি সুগ্রীবের সঙ্গে দ্বন্দ্বে রত ছিলে কিনা সেতি বড় বিষয় নয়। তুমি বানর, তাই আমি ক্ষত্রিয় হিসেবে তোমাকে শিকার করতে পারি। শিকার কোনও মুখোমুখি খেলা নয়। সম্মুখ সমর হোক অথবা পলায়ন করে হোক, তোমার উপর বাণ নিক্ষেপের অধিকার আমার আছে। ওহে বানরশ্রেষ্ঠ, তুমি ধর্মের প্রকৃত স্বরূপ না জেনেই ক্রোধের বশবর্তী হয়ে আমায় দোষারোপ করছো। আমি সবসময়ই আমার পূর্বপুরুষদের প্রদর্শিত ধর্মপথ অনুসরণ করে চলি। ”
এসকল কথা ভগবানের শ্রীমুখ থেকে শ্রবণ করে বালী তাঁর দ্বিধা থেকে মুক্ত হয়ে করজোরে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করলেন,
“ হে পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীরামচন্দ্র, তুমি যা বললে তা বাস্তবিকই যথার্থ। আমি অজ্ঞতাবশতঃ যে অপ্রিয় কথাগুলো বলেছি তার জন্য আমায় ক্ষমা করো। তুমি জ্ঞানী, সজ্জনদের রক্ষক, ধর্মের প্রতিপালক। আমি অধঃপতিত, ধর্মের অবজ্ঞা করেছি, আমায় ক্ষমা করো প্রভু। মুক্তি দাও আমায়। ”
বালী এরপর স্বীয় পুত্র অঙ্গদকে রক্ষা করতে ভগবানকে অনুরোধ করলেন। অতঃপর বালীর প্রতি কৃপাপরবশ হয়ে ভগবান তাঁর শ্রীচরণে বালীকে আশ্রয় প্রদান করলেন।
সুতরাং উপরি-উক্ত আলোচনা থেকে এ বিষয় স্পষ্ট যে, বালী,যিনি স্বয়ং রামচন্দ্র কর্তৃক নিক্ষিপ্ত বাণ দ্বারা মুক্তিপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, তাঁর যদি ভগবান সম্পর্কে কোনও ক্ষোভ না থাকে, তাঁর অপার মহিমা সম্পর্কে কোনও সন্দেহ না থাকে, তাঁর চরিত্র সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন না থাকে, সেখানে আমরা প্রশ্ন তোলার কে?
এরপরও হয়তো দুষ্ট মানবমনে কিছুটা সন্দেহের অবশেষ থেকে যেতে পারে। নিচের শ্লোকটি দ্বারা বিষয়টি পূর্ণতা পাবে। রামায়ণের যুদ্ধকাণ্ডে লক্ষ্মণ ইন্দ্রজিৎকে হত্যার জন্য হত্যার জন্য বহু অস্ত্র প্রয়োগ করে ব্যর্থ হলেন যে অস্ত্রগুলোর প্রত্যেকটিই ছিল দিব্য এবং শক্তিশালী। এগুলো ব্যর্থ হওয়ার পরে অবশেষে কোনো দিব্য অস্ত্র ব্যবহার না করেই একটিমাত্র বাক্য প্রয়োগ করে তিনি ইন্দ্রজিৎকে হত্যা করতে সমর্থ হন,
“ হে আমার বাণ, যদি দশরথনন্দন শ্রীরাম ধার্মিক হন এবং তাঁর সামর্থ্য ও শক্তিতে পৃথিবীতে অদ্বিতীয় হন তবে ইন্দ্রজিৎকে হত্যা করো। ”
ইন্দ্রজিৎ নিহত হলেন। সুতরাং ভগবানের উপর বা তাঁকর্মকাণ্ডের উপর দ্বিতীয় কোনো প্রশ্ন আরোপ করার প্রশ্নই ওঠে না।
ভগবানের প্রতিটি লীলাই চিন্ময় এবং তাঁর সব লীলার পেছনেই কোনো না কোনো উদ্দেশ্য থাকে যা বোঝা কলির অধঃপতিত জীবদের পক্ষে খুবই দুষ্কর। তাই বিশ্বাস রাখুন, আস্থা রাখুন ভগবানের শ্রীচরণে। হরে কৃষ্ণ!!! জয় শ্রীল প্রভুপাদ।
@রোদ্র রঞ্জন দাস
ঢাকা মেডিকেল কলেজ
তৃতীয় বর্ষ (কে-৭৫)