আমাদের “বৈদিক সনাতন ধর্ম” যে অত্যন্ত প্রামাণিক তা আর বলার অপেক্ষা থাকে না। এমন কোনো বিষয়ে মুনি-ঋষিদের দিকনির্দেশনা ও আলোচনা খুঁজে পাবেন না যা বিজ্ঞানসম্মত নয় কিংবা যৌক্তিক নয়। বর্তমান বিশ্বের আধুনিক বিজ্ঞান যা নিয়ে গবেষণা করছে সুষ্ঠু ফলাফল পাওয়ার আশায়। সেসকল বিষয়ে এক ধাপ এগিয়ে আমাদের বৈদিক মুনি-ঋষিদের সুস্পষ্ট অভিমত ও সিদ্ধান্ত শাস্ত্রে পূর্ব হতেই দেওয়া আছে। এমনকি বৈদিক শাস্ত্রে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা নিয়ে গবেষণা করার শক্তিও বর্তমান বিজ্ঞানীদের নেই, অথচ সেইসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বর্ণিত রয়েছে শাস্ত্রে। শুধুমাত্র তা দৃষ্টিগোচর না থাকায় নিজ ধর্ম সম্পর্কে হীনমন্যতায় ভোগেন জিজ্ঞাসুরা।
বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাও সন্তান উৎপাদন প্রসঙ্গে গর্ভের সন্তান পুত্র না-কি কন্যা হবে এবিষয়ে ক্রোমোজম নামক Dioxyribo Nuclic Acid; DNA ’র প্রভাব বর্ণনা করেন।
তো অনেককেই দেখা যায় পুত্র প্রাপ্তির উপায় হিসেবে শাস্ত্রের দিকনির্দেশনা জানতে চান। এবিষয়ে শুধুমাত্র মনুসংহিতা ৩য় অধ্যায়ের ৪৬-৪৯ তম শ্লোকে যেসকল বিধিনিষেধ বর্ণিত হয়েছে তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
“স্ত্রীলোকের ঋতু ষোড়শ রাত্রি স্বাভাবিক জানিবে। তন্মধ্যে শোণিতস্রাবযুক্ত চারি রাত্রি অতিনিন্দিত হয়।।৪৬।।
তন্মধ্যে প্রথম চারি রাত্রি ও একাদশ এবং ত্রয়োদশ রাত্রি এই ছয় রাত্রি ঋতুমতী স্ত্রীগমন নিষিদ্ধ, তদ্ব্যতীত অপর দশ রাত্রিতে গমন প্রশস্ত জানিবে।। ৪৭।।
এই পূর্ব্বোক্ত দশ রাত্রির মধ্যে ছয়, আট, দশ প্রভৃতি যুগ্ম দিনে স্ত্রীতে গমন করিলে পুত্র জন্মে, এবং পাঁচ, সাত প্রভৃতি অযুগ্ম দিনে গমন করিলে কন্যা জন্মে। অতএব পুত্রপ্রার্থী ব্যক্তি ঋতুকালে যুগ্ম দিনে স্ত্রীগমন করিবে।।৪৮।।
পুরুষের বীর্য্যাধিক্য হইলে অযুগ্ম রাত্রিতেও পুত্র জন্মে, স্ত্রীর বীর্যাধিক্য হইলে যুগ্ম রাত্রিতেও কন্যা হয়। যদি উভয়ের বীর্য্যের সাম্য থাকে, তাহা হইলে ক্লীব অথবা জমজ পুত্র-কন্যা হয়। যদি উভয়েরই বীর্য্য অসার বা অল্প হয়, তাহা হইলে গর্ভ হয় না”।।৪৯।।
সম্পাদনায়: প্রবীর চৈতন্য চন্দ্র দাস।
লেখার স্বত্ব স্বধর্মম্ কর্তৃক সংরক্ষিত। কেবল স্বধর্মম্ এর স্বত্ব উল্লেখ পূর্বক হুবহু কপি ও লিংক শেয়ারের জন্য অনুমোদিত।