আমার মা একাদশী ব্রত পালন করতে চাচ্ছে, আমার বাবা প্রথম একাদশী না ধরিয়ে দিলে, একাদশী ব্রত কি পালন করা যাবে না?
শ্রীমদ্ভাগবত (৫।৫।১৮)-এ বলা হয়েছে, যিনি তাঁর আশ্রিত জনকে সমুপস্থিত মৃত্যুরূপ সংসার মার্গ থেকে উদ্ধার করতে না পারেন, তাঁর গুরু, পিতা, পতি, জননী অথবা পূজ্য দেবতা হওয়া উচিত নয়।
তাই প্রত্যেক স্ত্রীর উচিত তার স্বামীকে এবং প্রত্যেক স্বামীর উচিত তার স্ত্রীকে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে জীবন যাপন করতে অনুপ্রাণিত করা। তা না হলে সেই স্ত্রীর স্ত্রী হওয়া উচিত নয়, সেই স্বামীর স্বামী হওয়া উচিত নয়।
.
পদ্মপুরাণে উল্লেখ রয়েছে –
দুর্ভাগা যা করোত্যেনাং সা স্ত্রী সৌভাগ্যমাপ্নুয়াৎ।
লোকানাঞ্চৈব সর্ব্বোষাং ভুক্তিমুক্তিপ্রদায়িনী।।
[ পদ্মপুরাণ, উত্তরখণ্ড, ৪৮।৪ ]
বঙ্গানুবাদ:
কোন দুর্ভাগা স্ত্রী যদি একাদশী ব্রত আচরণ করেন, তিনি সৌভাগ্য লাভ করেন। এই একাদশী ব্রত সর্বলোকের ভুক্তিমুক্তিপ্রদায়িনী, সর্ব্বপাপহারিণী ও গর্ভবাসনিবারিণী।
.
পদ্মপুরাণে আরো বলা হয়েছে-
যো ন পূজয়তে দেবং রঘুনাথং রমাপতিম্।
স তেন তাড্যতে দণ্ডৈর্যমস্যতি ভয়াবহৈঃ ।।
অষ্টমানদ্বৎসরাদূর্দ্ধমশীতির্ব্বৎসরো ভবেৎ।
তাবদেকাদশী সর্বৈৰ্ম্মানুষৈঃ কারিতামুন। ॥
[ পদ্মপুরাণ, পাতালখণ্ড, ১৯। ৬১-৬২ ]
বঙ্গানুবাদ:
যে ব্যক্তি রমাপতি দেব রঘুনাথকে পূজা না করে, ভগবান রামচন্দ্রই তাহাকে অতি ভীষণ যমদণ্ডে তাড়িত করেন। ৮ম বর্ষের পর যতদিন পর্যন্ত ৮০ বর্ষ পূর্ণ না হয় ততকাল যে সকল মানবেরই একাদশী ব্রত কর্ত্তব্য তাহা শ্রীরামচন্দ্রই বিধান কারিয়াছেন।
অতএব, মনুষ্যমাত্র ৮ থেকে ৮০ বছর পর্যন্ত অবশ্যই একাদশী পালনীয়।
।। হরে কৃষ্ণ ।।
[ বি:দ্র: স্বধর্মম্-এর অনুমোদন ব্যাতীত এই গবেষণামূলক লেখার কোনো অংশ পুনরুৎপাদন, ব্যবহার, কপি পেস্ট নিষিদ্ধ। স্বধর্মম্-এর সৌজন্যে শেয়ার করার জন্য উন্মুক্ত ]
নিবেদক-
° স্বধর্মম্: প্রশ্ন করুন | উত্তর পাবেন °