মর্যাদা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীরামের বিগ্রহকে ভাষ্কর্য বলার দুঃসাহস করছে একদল তথাকথিত বেদবাদী পণ্ডিত!!!
যারা দীর্ঘদিন থেকেই বেদের নাম করে কিছু মনগড়া ভাষ্যে দেখিয়ে সহজ সরলমনা সনাতনীদের মাথায় নিরাকারবাদ, নাস্তিক্যবাদ ঢুকিয়ে তাদের ধর্মবিমুখ করার পায়তারা করছে।
যদিও এরা প্রকাশ্যে শ্রীরামবিগ্রহের ছবি পোস্ট করে, দূর্গা পূজায় শুভেচ্ছামূলক পোস্ট দিয়ে, জন্মাষ্টমীতে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে জনসমর্থন কুঁড়ায় কিন্তু আড়ালে সুকৌশলে ঠিকই তাদের নাস্তিক্য দর্শন প্রচার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অযোধ্যায় ভগবান শ্রীরামের বিগ্রহকে সাধারণ ভাষ্কর্যের সঙ্গে তুলনা করে তাচ্ছিল্যভরে নানা ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট করতেও দ্বিধাবোধ করেনি তারা।
অথচ বেদাদি শাস্ত্রে শ্রীবিগ্রহ আরাধনার যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এরা কিভাবে যে সাধারণ জনগণের চোখে ধুলা দেয় বোধগম্য নয়।
- “আমি দেবলোকের উদ্দেশ্যে প্রতিমা তৈরি কারী শিল্পীকে নিযুক্ত করছি।“ (যজুর্বেদ: ৩০/১২)
- তাঁর মূর্তি কিভাবে সম্পন্ন বা নির্মান হবে, তার নির্দেশনা- “পাষাণ, মৃত্তিকা, পাহাড়-পর্বত বালুক বনস্পতি, স্বর্ণ, রৌপ্য লৌহ, তামা সীসা দ্বারা আমার যজ্ঞ সম্পন্ন হউক ।“ (যজুর্বেদ: ১৮/১৩)
- সেই স্থানে তিঁনি অবস্থানও করেন- হে শুদ্ধসত্ত্ব, তুমি অনন্তস্বরূপ, ভগবানের শরীর সদৃশ, ভগবত সম্বন্ধযুক্ত স্থানে উপবেশন করো ।’’ (যজুর্বেদ: ৫/৩০)
रू॒पंरू॑पं॒ प्रति॑रूपो बभूव॒ तद॑स्य रू॒पं प्र॑ति॒चक्ष॑णाय।
इन्द्रो॑ मा॒याभि॑: पुरु॒रूप॑ ईयते यु॒क्ता ह्य॑स्य॒ हर॑यः श॒ता दश॑॥
“রুপং রুপং প্রতিরুপো বভূব তদস্য রুপং প্রতিচক্ষণায়।
ইন্দ্রো মায়াভিঃ পুরুরুপ ঈয়তে যুক্তা হ্যস্য হরয়ঃ শতা দশ।।”
অনুবাদঃ ঈশ্বর (ইন্দ্র), বিভিন্ন রুপ বা দেহ ধারন করেন। এবং সে রুপ ধারন করে তিনি পৃথকভাবে প্রকাশিত হন।তিনি তার মায়া দ্বারা বিবিধ রুপ ধারন করে যজমানগণের নিকট উপস্থিত হন।কারন তার রথ সহস্র অশ্ব সংযুক্ত(অনন্ত শক্তি), অথাৎ তিনি অসীম ক্ষমতার অধিকারী।
– ঋগ্বেদ ৬/৪৭/১৮
नू मर्तो॑ दयते सनि॒ष्यन्यो विष्ण॑व उरुगा॒याय॒ दाश॑त्।
प्र यः स॒त्राचा॒ मन॑सा॒ यजा॑त ए॒ताव॑न्तं॒ नर्य॑मा॒विवा॑सात्॥
nū marto dayate saniṣyan yo viṣṇava urugāyāya dāśat|
pra yaḥ satrācā manasā yajāta etāvantaṃ naryam āvivāsāt||
“যিনি বহু লোকের কীর্তনীয় বিষ্ণুকে হব্য দান করেন,যিনি যুগপৎ উচ্চারিত স্তোত্রের দ্বারা তাকে পূজা করেন এবং মনুষ্যের হিতকর বিষ্ণুর পরিচর্যা করেন সে মর্ত্যধন ইচ্ছা করে শীঘ্রই প্রাপ্ত হন।”
– (ঋকবেদঃ ৭/১০০/১)
अर्च॑त॒ प्रार्च॑त॒ प्रिय॑मेधासो॒ अर्च॑त।
अर्च॑न्तु पुत्र॒का उ॒त पुरं॒ न धृ॒ष्ण्व॑र्चत॥
arcata prārcata priyamedhāso arcata|
arcantu putrakā uta puraṃ na dhṛṣṇv arcata||
“হে প্রিয়মেধগণ! তোমরা ইন্দ্রক অর্চনা কর। বিশেষরূপে অর্চনা কর, পুত্রগণ পুরবিদারীকে যেরূপ অর্চনা করে, সেরূপ ইন্দ্রের অর্চনা করুক।”
– [ঋগবেদ:- ৮/৬৯/৮]
যদি বিগ্রহ বা শ্রীমূর্তি পূজা বেদবিহিত না হত,তাহলে এ মন্ত্রে পূজা,পরিচর্যার প্রসঙ্গই আসতো না।
- যজুর্বেদের ১৩/৪১ নং মন্ত্রে বলা আছে,
“সহসস্র প্রতিমাং বিশ্বরূপম।’’
অর্থাৎ, ঈশ্বর সহস্র রূপে বিশ্বজুড়ে আছেন ।
- “তং যজ্ঞম্বর্হিষিপ্রৌক্ষংন্ন…..সাধ্যাঋষ্যশ্চ য়ে (যজুর্বেদ৩১/৯) এর নিরুক্ত শতপথ ১১/১/৩ দেখলে তার অর্থ এমন দাঁড়াবে যে-
“সাধ্য দেবগণ এবং সনকাদি ঋষিগণ সৃষ্টির পূর্বে উৎপন্ন সেই যজ্ঞসাধনভূত বিরাট পুরুষের মানস যজ্ঞের সম্পন্নতার নিমিত্তে প্রোক্ষণ করেন এবং সেই বিরাট পুরুষের অবয়বেই যজ্ঞ সম্পাদন করেন।”